Pages

Wednesday, April 25, 2012

লিচু


লিচু বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ফল। এর আদি জন্মস্থান চীনের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল। বাংলাদেশের রাজশাহী, দিনাজপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও চট্টগ্রামে ভালো জাতের লিচু উৎপন্ন হয়। আমাদের দেশে অনেক জাতের লিচু চাষ হয় এবং সব জাতই বিদেশ হতে আনিত। বারি লিচু ১ একটি উচ্চ ফলনশীল আগাম জাত। ফল ডিম্বাকার ও লাল বর্ণের হয়, ফলের ওজন প্রায় ১৮-২০ গ্রাম। উত্তরাঞ্চলে এর চাষ হয়। চায়না নং ৩ লিচুর জাতগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে উৎকৃষ্ট। এটি বহু পূর্বে চীন থেকে এদেশে আনা হয়েছিল। ফলের আকার প্রায় গোলাকার ও খুব মিষ্টি। বীজ খুবই ছোট বলে একে বেদানাও বলা হয়। বোম্বাই এটি একটি সংকর জাত। আকারে বড় ও আকর্ষণীয় এবং স্বাদে টক ভাবাপন্ন। যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে এর ব্যাপক চাষ হয়। মোজাফ্ফরপুরী লিচুর এই জাতটি ভালো, ফলনও বেশি। সব ফল একই সাথে পাকে না বলে গাছে অনেক দিন থাকে।


গভীর দোআঁশ পলিমাটি লিচুর চাষের জন্য উপযোগী। পানি নিকাশের সুব্যবস্হা থাকলে অন্যান্য মাটিতেও লিচুর চাষ করা যায়। কিন্তু বেলেমাটি লিচু চাষের উপযোগী নয়। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে লিচু বাগানের জমিতে গভীরভাবে চাষ ও মই দিতে হবে। আগাছা থাকলে পরিষ্কার করতে হবে এবং জমি সমান করতে হবে। বর্ষার শুরু বা শেষ চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। লিচুর চারা সাধারণত ৮-১০ মিটার দূরতে ১*১*১ মিটার আকারের গর্ত করতে হবে। গর্তের উপর ও নিচের মাটি আলাদা রাখতে হবে এবং গর্তের উপরের মাটির সাথে নিম্মুক্ত সারগুলো মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবেঃ


সারের নাম
গর্ত প্রতি পরিমাণ
পচা গোবর
২০ কেজি
হাড়ের গুঁড়া অথবা টি এস পি
২ কেজি অথবা ১ কেজি
পচা খৈল
২ কেজি
ছাই অথবা এম পি
৫ কেজি অথবা ৫০০ গ্রাম

Saturday, April 21, 2012

কাঁঠাল


কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল। এই ফলের উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশ বলে একে জাতীয় ফলের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এর সমতুল্য কোনো ফল বাংলাদেশে আর নেই। ফলের মধ্যে কাঁঠাল আকারে বৃহওম, এটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল এবং এর প্রতিটি অংশই ব্যবহার করা যায়। বন্যামুক্ত প্রায় সব ধরনের মাটিতে কাঁঠালের চাষ করা যায়। গভীর ও অম্ল লাল মাটির উঁচু জমি নির্বাচন করা ভালো। কাঁঠালের জমি ৫-৬ বার লাঙ্গল ও মই দিয়ে ভালোভাবে তৈরি করে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে এবং সমান করতে হবে। এরপর চারা রোপণের এক মাস পূর্বে ১০ মিটার দূরে দূরে ১*১*১ মিটার আকারের গর্ত তৈরি করতে হবে। গর্ত তৈরির সময় ওপরের মাটি ও নিচের মাটি আলাদাভাবে রাখতে হবে। দু সপ্তাহ গর্ত ও গর্তের মাটি শুকিয়ে গর্তের ওপরের মাটির সাথে নিচে বর্ণিত সার ভালোভাবে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবেঃ

সারের নাম
গর্ত প্রতি পরিমাণ
পচা গোবর
৩০ কেজি
হাড়ের গুঁড়া অথবা টি এস পি
৫০০ গ্রাম অথবা ২৫০ গ্রাম
সরিষার পচা খৈল
২ কেজি
ছাই অথবা এম পি
৪ কেজি অথবা ২৫০ গ্রাম

আম

আম বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ফল। কাঁচা-পাকা সব অবস্হায়ই খাওয়া যায়। বাংলাদেশে আমের অনেক জাত আছে এর মধ্যে গোপালভোগ, ল্যাংড়া, হিমসাগর, ফজলি উল্লেখযোগ্য। আম প্রায় সব ধরনের মাটিতেই চাষ করা যায় তবে গভীর ও সুনিষ্কাশিত উর্বর দোআঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী। আম চাষের জন্য বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে জমি তৈরি করতে হবে। ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে এবং জমি সমান করতে হবে। বর্ষার শুরুতে বা বর্ষার শেষে চারা লাগানো উচিত। জমি তৈরি হলে ১০মি. দূরে দূরে ১মি.*১মি.*১মি. আকারের গর্ত করতে হবে। গর্ত প্রতি নিচে বর্ণিত সার প্রয়োগ করতে হবেঃ 
সারের নাম
গর্ত প্রতি পরিমাণ
পচা গোবর
২৫ কেজি
টি এস পি
৭৫০ গ্রাম
সরিষার পচা খৈল
১ কেজি
এম পি
৪০০ গ্রাম

টমেটো গাছ


ভাগ্যক্রমে আপনার জন্য টমেটো গাছ যেকোনো জায়গায় জন্মাতে পারে। গাছ সাধারনত ১-৩ মিটার লম্বা হয়। এটি একটি বহুবর্ষজীবী যা শীতপ্রধান দেশে বাড়ির বাহিরে ফলানো হয়। টমেটোতে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি আছে। বর্তমানে সারাবিশ্বের মানুষ অবাধে টমেটো খায় এবং সবাই বিশ্বাস করে এটি হার্টের জন্য উপকারি। গবেষণায় দেখাগেছে এর মধ্যকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহের জন্য  প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ সাহায্য পাওয়া যায়। 

কচু গাছ


Elephant Ear Plants, যাকে আমরা কচু গাছ নামে জানি। ইহা Taro নামেও পরিচিত। সাধারনত গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে জন্মায় আর উত্তর অঞ্চলে শিতকালে বাড়ির সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য পরিবেশন করা হয়। এরা শুকনো মাটি এমনকি পানির মধ্যেও জন্মাতে পারে। দোঁআশ বা বেলে দোঁআশ মাটি কচু চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। কচুর প্রতিটি অংশ সবজি হিসাবে খাওয়া যায়। আমাদের দেশে কচু চাষের জন্য ফাল্গুন- চৈত্র মাসে ৩-৪ বার গভিরভাবে চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরা করতে হয়। পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনে নালা কাটা উচিত। কচু চাষের জন্য ছকে বর্ণিত সার নির্দিষ্ট পরিমানে ব্যবহার করতে হবেঃ

সারের নাম

হেক্টর প্রতি
পরিমাণ
শতক প্রতি পরিমাণ
(৪০ বর্গমিটার)
পচা গোবর
১০ টন
৪০ কেজি
ইউরিয়া
১৫০ কেজি
৬০০ গ্রাম
টি এস পি
১২৫ কেজি
৫০০ গ্রাম
এম পি
১৭৫ কেজি
৭০০ গ্রাম