লিচু বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ফল। এর আদি জন্মস্থান চীনের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল। বাংলাদেশের রাজশাহী, দিনাজপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও চট্টগ্রামে ভালো জাতের লিচু উৎপন্ন হয়। আমাদের দেশে অনেক জাতের লিচু চাষ হয় এবং সব জাতই বিদেশ হতে আনিত। বারি লিচু ১ একটি উচ্চ ফলনশীল আগাম জাত। ফল ডিম্বাকার ও লাল বর্ণের হয়, ফলের ওজন প্রায় ১৮-২০ গ্রাম। উত্তরাঞ্চলে এর চাষ হয়। চায়না নং ৩ লিচুর জাতগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে উৎকৃষ্ট। এটি বহু পূর্বে চীন থেকে এদেশে আনা হয়েছিল। ফলের আকার প্রায় গোলাকার ও খুব মিষ্টি। বীজ খুবই ছোট বলে একে বেদানাও বলা হয়। বোম্বাই এটি একটি সংকর জাত। আকারে বড় ও আকর্ষণীয় এবং স্বাদে টক ভাবাপন্ন। যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে এর ব্যাপক চাষ হয়। মোজাফ্ফরপুরী লিচুর এই জাতটি ভালো, ফলনও বেশি। সব ফল একই সাথে পাকে না বলে গাছে অনেক দিন থাকে।
গভীর দোআঁশ পলিমাটি লিচুর চাষের জন্য উপযোগী। পানি নিকাশের সুব্যবস্হা থাকলে অন্যান্য মাটিতেও লিচুর চাষ করা যায়। কিন্তু বেলেমাটি লিচু চাষের উপযোগী নয়। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে লিচু বাগানের জমিতে গভীরভাবে চাষ ও মই দিতে হবে। আগাছা থাকলে পরিষ্কার করতে হবে এবং জমি সমান করতে হবে। বর্ষার শুরু বা শেষ চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। লিচুর চারা সাধারণত ৮-১০ মিটার দূরতে ১*১*১ মিটার আকারের গর্ত করতে হবে। গর্তের উপর ও নিচের মাটি আলাদা রাখতে হবে এবং গর্তের উপরের মাটির সাথে নিম্মুক্ত সারগুলো মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবেঃ
সারের নাম
|
গর্ত প্রতি পরিমাণ
|
পচা গোবর
|
২০ কেজি
|
হাড়ের গুঁড়া অথবা টি এস পি
|
২ কেজি অথবা ১ কেজি
|
পচা খৈল
|
২ কেজি
|
ছাই অথবা এম পি
|
৫ কেজি অথবা ৫০০ গ্রাম
|