Pages

Monday, September 17, 2012

পরিচিতি (SEO)

ইন্টারনেট দুনিয়ায় যারা একবার হলেও ডুব দিয়েছেন তারা কিছু নাহলেও এস ই ও (SEO) এর পুরো মিনিং জানেন। SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন মানে হল একটি ওয়েব সাইট কে সার্চ ইঞ্জিনে যুক্ত করা এবং কোন নির্দিষ্ট keyword এর জন্য এটিকে সার্চ রেজাল্ট এ উপরে তুলে আনা। আর সার্চ ইঞ্জিন বলতে আমরা বুঝি ওয়েবে প্রকাশিত হওয়া কোন তথ্য বা বিষয় অতিদ্রুত খুজে পেতে আমরা যে মধ্যমটি ব্যবহার করি। সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারের মাধ্যেমে আমাদের তিনটি জিনিস রক্ষা পাচ্ছে

     ১। সময়

  ২। শ্রম
    ৩। টাকা

কয়েকটি জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন যেমন- GOOGLE, YAHOO, BING, MSN 

আপনার ইংরেজি পড়া এবং বুঝার স্কিল যদি মোটামুটি লেভেলের ভালো হয় তবে আপনি গুগলকে ইউজ করে ভালো মানের কিছু ব্লগ থেকে এসইও'র অনেক অনেক কিছু শিখতে পারেন। আর নেট স্পিড ভালো হলে ত কথাই নেই বিভিন্ন জিনিস সার্চ করে সেগুলোর ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড করে দেখতে পারেন। তবে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা দুরুহ হয়ে উঠে এক্ষেত্রে। তার পরও সব চেয়ে বড় ব্যাপার টা হচ্ছে গাইডলাইন (কোনটার পর কোনটা শিখতে হয়) নেট ঘেটে শিখতে গেলে যা অনেক কষ্ট সাধ্য। আরও একটা মূল ব্যাপার হচ্ছে এতে করে অনেকে ই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এভাবে শিখতে গিয়ে। আর যারা ধর্য ধারন করে শিখে যেতে পারে তারাই পায় চূড়ান্ত সাফল্য। মূল কথা হচ্ছে শুধু পড়ে পড়ে শিখলেই হবে না প্রাকটিসও চালিয়ে যেতে হবে তা না হলে শিক্ষা কোন কাজে আসবে না। কারন এসইও হচ্ছে প্রাকটিকাল একটা ফ্লো যার কাজে লাগানোর ধারাবাহিকতা না থাকলে কোন ফল আশা করা যায় না।
এখানে আমি সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO) সম্পর্কে বেশ কিছু ভিডিও টিউটোরিয়াল দিব। আশা করি টিউটোরিয়াল গুলো আপনাদের সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO) শিখতে সাহায্য করবে। শেষ করার আগে আমি ধন্যবাদ দিব টেকটিউনস এর বড় ভাইদের, যাদের টিউন থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আগামীতে ভিডিও টিউটোরিয়াল গুলো ধাপে ধাপে দেয়া হবে।

Thursday, July 26, 2012

চীনে বন্যা


গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণে চীনের ১৭ টি প্রদেশে বন্যা দেখা দিয়েছে। চীনের ইয়ংচুয়ান জেলার চংকিং এলাকা থেকে বন্যাকবলিত মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন উদ্ধারকর্মীরা।

Tuesday, July 24, 2012

প্রবল বৃষ্টি

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে গত শনিবার ৬১ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টির পানিতে ডুবে য

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে প্রবল বর্ষণ থেকে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শহরের প্রধান বিমানবন্দরে আটকা পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। বেইজিংয়ে ৬১ বছরের মধ্যে গত শনিবার সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া গতকাল রোববার জানায়, বেইজিংয়ের প্রধান সড়কগুলো বন্যায় তলিয়ে গেছে। বন্যায় এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পুলিশের এক সদস্য মারা গেছেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। একটি পাতালপথে গাড়িসহ ডুবে গিয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা ছাদ ধসে ও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কয়েকজন উদ্ধারকর্মীসহ অসংখ্য মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। বন্যার ফলে শহরের প্রধান বিমানবন্দরে অন্তত ৫০০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
বেইজিংয়ে গত গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৭০ মিলিমিটার। এর মধ্যে বেইজিংয়ের পার্বত্য এলাকায় অবস্থিত ফাংশান জেলায় সর্বোচ্চ ৪৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ওই এলাকা থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতের মোট সংখ্যায় ওই তিনজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কি না নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গতকাল পর্যন্ত দুর্গত এলাকা থেকে অন্তত ৩০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই বেইজিংয়ের বাইরে অবস্থিত প্রত্যন্ত পার্বত্য জেলাগুলোর বাসিন্দা।
রাজধানী ছাড়াও উত্তরাঞ্চলীয় শানঝি প্রদেশে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল বন্যার তোড়ে একটি ট্রাক ভেসে গেলে ওই ঘটনা ঘটে। 
এ ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে ভূমিধসে ছয়জন নিহত হয়েছে। প্রাদেশিক বন্যা-নিয়ন্ত্রণ ও ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তারা এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
বেইজিং নগর কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা শহরের পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করেছেন।

Monday, July 23, 2012

ডুক লেঙ্গুর

বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ধূসর পায়ের ডুক লেঙ্গুর

বিরল প্রজাতির দুটি বানরকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে ভিয়েতনামের তিন সেনাসদস্যকে আটক করা হয়েছে। রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র ভয়েস অব ভিয়েতনাম এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ধূসর পায়ের ডুক লেঙ্গুর (বানর) হত্যার ছবি ফেসবুকে গত সপ্তাহে প্রকাশ করা হয়। এতে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়। এনগুয়েন ভান কুয়াং নামের এক সেনাসদস্য ছবিগুলো প্রকাশ করেন। ছবিতে দেখা যায়, অন্তঃসত্ত্বা একটি বানরকে ধূমপান করানো হচ্ছে এবং নির্যাতন করে মেরে ফেলা হচ্ছে। 
সামরিক কর্মকর্তা কর্নেল এনগুয়েন ভান হাই বলেন, ওই তিন সেনাকে সেন্ট্রাল হাইল্যান্ডস এলাকায় বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁরা স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে বানরগুলোকে ধরে এনে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
বানর হত্যার অভিযোগে ওই তিন সেনাকে বৃহস্পতিবার চিহ্নিত করা হয়। শিগগিরই তাঁদের একটি সামরিক আদালতে হাজির করা হবে।

একসঙ্গে পাঁচ সন্তান


খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল শনিবার একসঙ্গে পাঁচটি নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন এক গৃহবধূ। চার কন্যাশিশু ও মা সুস্থ থাকলেও ছেলেটির অবস্থা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। একসঙ্গে পাঁচ নবজাতকের জন্মের এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তাদের একনজর দেখতে হাসপাতালে ভিড় জমায় লোকজন। 
ওই গৃহবধূর নাম শিমু বেগম (২৩)। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুল গফ্ফার খানের (৩৫) স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্র জানায়, এক বছর আগে গৃহবধূ শিমু বেগমের প্রথম সন্তান মারা যায়। এরপর আবার সন্তানসম্ভবা হওয়ার তিন মাসের মাথায় পরীক্ষা করানো হলে চিকিৎসকেরা জানান, শিমুর গর্ভে দুটি বাচ্চা রয়েছে। ছয় মাসের মাথায় আবার পরীক্ষায় একই কথাই বলা হয়। কিন্তু সর্বশেষ গত ১৫ জুলাই পরীক্ষা করানো হলে চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর গর্ভে চারটি বাচ্চা রয়েছে নিশ্চিত। এমনকি পাঁচটিও হতে পারে। এরপর অবস্থা বিবেচনা করে তাঁকে ১৭ জুলাই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌসের নেতৃত্বে দুই দিন ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গতকাল সকাল ১০টায় শিমু বেগমকে অস্ত্রোপচারকক্ষে নেওয়া হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর চিকিৎসকেরা জানান, শিমু চার কন্যা ও এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ২১ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছে জন্ম নেওয়া চার কন্যাশিশুকে। কর্তব্যরত সেবিকা নুরুন নাহার জানান, তারা সম্পূর্ণ সুস্থ। তবে তাদের দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করছে। হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার চিকিৎসক কানিজ ফাতেমা বলেন, বাচ্চাদের বয়স নয় মাস পূর্ণ না হলেও মায়ের কথা বিবেচনা করে আগেই অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে। কন্যাশিশুগুলো সুস্থ। তবে পুত্রশিশুটি সবার ছোট হওয়ায় কিছুটা ঝুঁকিতে আছে।
পাঁচ নবজাতকের বাবা ইউপি সদস্য আবদুল গফ্ফার খান বলেন, ‘প্রথম সন্তান মারা যাওয়ার পর একসঙ্গে পাঁচটি বাচ্চা হওয়ায় আমি দারুণ খুশি। আপনারা দোয়া করবেন, ওরা যেন ভালো থাকে।’

Saturday, July 21, 2012

পানামার গোলাপ রনডেলেশিয়া


রমনা উদ্যানের অশোককুঞ্জের উত্তর পাশ লাগোয়া কয়েকটি রঙ্গনের পাশেই দেখা মিলবে এ গাছের। অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মার ফুলগুলো যেন কথা গ্রন্থে গাছটির পরিচয় ‘রনডেলেশিয়া’ নামে। কোনো বাংলা নাম নেই। প্রায় বর্ষব্যাপ্ত প্রস্ফুটন ও চটকদার রঙের জন্য যেকোনো উদ্যানেই মানানসই। সঠিক পরিচর্যার অভাবে উদ্যানের গাছটি বেশ হতশ্রী। তবে বংশবৃদ্ধির ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর বলেই রনডেলেশিয়ার তেমন প্রসার ঘটেনি। জানামতে, রমনা উদ্যান ছাড়া নিউ বেইলি রোডের ডাক বিভাগের আবাসিক ভবনগুলোর একটিতে এ গাছ চোখে পড়ে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে কারও ব্যক্তিগত বাগানেও থাকতে পারে।
রনডেলেশিয়া (Rondeletia odorata) পানামার সুগন্ধি গোলাপ নামেও পরিচিত। চিরসবুজ গুল্ম। আলেক্সানাডার ভন হামবল্ডট এবং অ্যামি বনপ্লেনড সর্বপ্রথম মেক্সিকো থেকে এ গাছ সংগ্রহ করেন। ১৮১৮ সালের দিকে Nova Genera et Species Plantarum গ্রন্থের চতুর্থ সংস্করণে এ গাছের উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম সংযুক্ত করা হয়। রনডেলেশিয়া নামটি স্যার গুইলামি রনডিলেটের স্মারণিক। এ গাছের আদি আবাস কিউবা। সাধারণত এক থেকে দেড় মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে, গড়নের দিক থেকে লম্বাটে স্বভাবের। পাতা চার থেকে ছয় সেন্টিমিটার লম্বা, ওপরের পিঠ রোমশ। ছোট ছোট থোকায় সাত থেকে আট মাস পর্যন্ত ফুল ফোটে। ফুল দেখতে অনেকটা রঙ্গনের মতো, তবে পাপড়ির আগা ভোঁতা ও মাঝখানে একটি হলুদ রঙের ফোঁটা থাকে, পাপড়ির রং লাল। বংশবৃদ্ধি দাবাকলমে।

Sunday, July 15, 2012

গরুর গাড়ি


জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পণ্য পরিবহনে বিকল্প মাধ্যম হিসেবে পাহাড়েও ব্যবহার হচ্ছে গরুর গাড়ি।

বন্যা


চীনের মধ্যাঞ্চলের হেবাই প্রদেশে ভয়াবহ বন্যা। বন্যায় এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু ও ২৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্গত হুয়ান এলাকা থেকে উদ্ধারকর্মীরা এক নারীকে সরিয়ে নিয়ে যাবার চিত্র।

Saturday, July 14, 2012

মরণ ফাঁদ


যাত্রীসহ রিকশা উল্টে যাওয়ার বিরল দৃশ্য।

Friday, July 13, 2012

ইয়াসুনি ন্যাশনাল পার্ক

ইয়াসুনি ন্যাশনাল পার্কের জীববৈচিত্র্য বিশ্বের মধ্যে অনন্য

প্রকৃতির বিস্ময় আমাজন বৃষ্টিবন বা রেইন ফরেস্ট। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের কয়েকটি দেশজুড়ে এই বিশাল বন। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও বিস্ময়কর জীববৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ এই বনভূমি। আমাজন নদী অববাহিকার পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় চার হাজার বর্গমাইলজুড়ে রয়েছে ইকুয়েডরের ইয়াসুনি ন্যাশনাল পার্ক। একে পৃথিবীর প্রধানতম প্রাণবৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকা হিসেবে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। ইকুয়েডরের জীববিজ্ঞানী ডেভিড রোমো বলেন, ‘প্রতিবার ইয়াসুনিতে গেলেই নতুন নতুন প্রজাতির জীব দেখা যায়। শুধু সেখানকার সব কীটপতঙ্গ প্রজাতির নাম দিতেই আমাদের ৪০০ বছর লাগতে পারে।’
ইয়াসুনির প্রতি হেক্টরে প্রায় এক লাখ কীটপতঙ্গ আছে বলে ধারণা করা হয়। দক্ষিণ আমেরিকার অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে এখানকার বৃক্ষ প্রজাতির সংখ্যাও নিঃসন্দেহে অনেক বেশি। এই পার্কে আছে প্রায় ২৮ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মেরুদণ্ডী প্রাণী। যেমন সাদা পেট মাকড়সা বানর। আছে ৯৫টি বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতি। পাখিপ্রেমীদের স্বর্গ বলে বিবেচিত এই পার্কে পাখি আছে প্রায় ৬০০ প্রজাতির। এত ছোট একটা ভূখণ্ডে প্রাণের এই বৈচিত্র্য বিস্ময়কর। তবে সম্প্রতি ইকুয়েডরের উদ্ভিদবিজ্ঞানী গোর্কি ভিলা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘ভালোমতো বুঝে ওঠার আগেই বনটি ধ্বংস হয়ে যায় কি না, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’

ঘাড়ব্যথা


অদ্ভুত এই পাখিটির নাম ইউরেশীয় রাইনেক বা ‘রাইনেক’। পাখিটির কোনো বাংলা নাম না থাকায় ‘ইউরেশীয় ঘাড়বাঁকা’ বা ‘ঘাড়ব্যথা’ নামে ডাকা হয়। এরা কাঠঠোকরা-জাতীয় পাখি। তবে কাঠঠোকরাদের মতো ঠোঁট ছুরির ফলার মতো নয়, বরং তা আকারে ছোট। খাবারের জন্য বেশির ভাগ সময় মাটিতেই কাটায় বলে ‘মেঠো কাঠঠোকরা’ নামেও পরিচিত। বৈজ্ঞানিক নাম Jinx torquilla
ঘাড়ব্যথা বাদামি-ধূসর পাখি। লম্বায় ১৯ সেন্টিমিটার। লেজ তুলনামূলকভাবে লম্বা। দেহের ওপরটা ধূসর। নিচটা হলদে ডোরাযুক্ত। পেটের দিকটায় কখনো-সখনো লালচে আভা দেখা যায়। একটি কালো দাগ চোখ-গাল হয়ে ঘাড়ের পেছন দিকে চলে গেছে। বাদামি ডানার ওপর কালো, হলদে ও ধূসর ফোঁটা এবং ডোরা। হলদে গলা ও বুকে কালো ডোরা। পেটে কালো রেখা। পা খাটো। ঠোঁট, পা ও পায়ের নালা বাদামি। পুরুষ ও স্ত্রী দেখতে একই রকম হলেও পুরুষগুলো যেন বেশি চকচকে।
ঘাড়ব্যথা বিরল প্রজাতির পরিযায়ী পাখি। সুদূর সাইবেরিয়া ও চীন থেকে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে শীতে এ দেশে আসে ও বসন্তে চলে যায়। শীতকালে প্রধানত সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের গ্রামীণ এলাকায় দেখা যায়। গ্রীষ্মকালে খোলা ঝোপঝাড়, মাঠ ও কৃষিজমির ধারেকাছে এবং শীতকালে বাগান ও কৃষি খামারের আশপাশে থাকতে পছন্দ করে। একাকী বা জোড়ায় ঘুরে বেড়ায়। শুষ্ক মাটি বা পিঁপড়ার ঢিবিতে বসে বা লাফিয়ে লাফিয়ে খাবার সংগ্রহ করে। পছন্দের খাদ্য তালিকায় রয়েছে পিঁপড়া, পিঁপড়ার ডিম ও বাচ্চা এবং গুবরেপোকা। ভয় পেলে বুক ঠেকিয়ে মাটির সঙ্গে লেপটে থাকে। দেহের রঙ সহজেই এদের মাটির সঙ্গে মিলেমিশে যেতে সাহায্য করে। এ সময় সুযোগ পেলে আশপাশের ঝোপঝাড়ে আশ্রয় নেয়। ভয় কেটে গেলে ফের মাঠে আসে। সাধারণত চিঁউ-চিঁউ-চিঁউ-চিঁউ স্বরে ডাকে।
মে-জুলাই প্রজননকাল। এ সময় তির-তির-তির-তির স্বরে ডাকে। কোনো ছোট গাছের খোঁড়লে বাসা বানায়। সচরাচর কাঠঠোকরার পরিত্যক্ত বাসা ব্যবহার করে। বাসায় কেউ উৎপাত করলে সাপের মতো মাথাটিকে ঘুরিয়ে হিস-হিস শব্দ করে উৎপাতকারীকে ভয় দেখায়। এদের ডিমের রং সাদা।

Friday, July 6, 2012

যুক্তরাষ্ট্রে আগুন


যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের আলপাইনের পূর্বাঞ্চলের একটি অংশে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুন নেভাতে বিমান থেকে কাঁদা মাটির অর্ধতরল মিশ্রণ ফেলা হয়।

Tuesday, July 3, 2012

জবা ফুল


মধুর খোঁজে জবা ফুলে বসেছে প্রজাপতি।

Monday, July 2, 2012

মিকি ও মিনি


জাপানের রাজধানী টোকিওর রাস্তায় রিকশায় বসে আয়েশ করে ঘুরে বেড়াচ্ছে জনপ্রিয় দুই কার্টুন চরিত্র মিকি ও মিনি মাউস। হাত নেড়ে সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছে এই কার্টুন জুটি।

Thursday, June 21, 2012

ঘুড়ি উৎসব


লেবাননের বৈরুতের রামেল আল বায়দা সমুদ্রসৈকতে নবম আন্তস্কুল ঘুড়ি উৎসবের আসর বসেছে। উৎসবে অংশ নিয়েছে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী। নানা রঙের নানা আকৃতির ঘুড়িতে বর্ণিল হয়ে উঠেছে সৈকতের আকাশ। সৈকতে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়।

Wednesday, June 20, 2012

ধরিত্রি সম্মেলন


ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে আজ বুধবার (২০ জুন ২০১২ইং) রিও+২০ ধরিত্রি সম্মেলন শুরু হচ্ছে। সম্মেলন শুরুর আগের দিন কোপাকাবানা সৈকতে স্বেচ্ছাসেবীরা মুখোশ পরে ক্ষুদা ও দারিদ্র্যপীড়িত দেশগুলোর সমস্যা তুলে ধরে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তাঁদের মাঝখানে সারি করা খালি থালা ও পতাকা যেন অনুন্নত দেশগুলোর অবস্থার চিত্রই তুলে ধরেছে।

Tuesday, June 19, 2012

হাঁসের ঝাঁক


চীনের জেঝিয়াং প্রদেশের তাইঝৌ এলাকায় সড়ক দিয়ে একজন কৃষক নিয়ে যাচ্ছেন বিশাল হাঁসের ঝাঁক। এ সময় একটি গাড়ির চালক তা দেখছেন। ওই কৃষকের এই ঝাঁকে রয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার হাঁস।

Monday, June 18, 2012

মহাকাশযাত্রা


চীনের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী মহাকাশ অভিযানে অংশ নিচ্ছেন দেশটির প্রথম নারী নভোচারী লিউ ইয়াং। শেনঝু-৯ নামের একটি নভোযান লিউসহ অপর দুই পুরুষ অভিযাত্রী নিয়ে গোবি মরুভূমির প্রত্যন্ত এলাকা থেকে গতকাল শনিবার যাত্রা করে।
অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছেন জিং হেইপেং ও লিউ ওয়াং। ১৩ দিনব্যাপী অভিযানে মহাকাশে বিভিন্ন পরীক্ষা চালানো হবে। এ সময় নভোযানটিকে তিয়াংগং-১ নামক মহাকাশকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। তিয়াংগং-১ বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে মহাশূন্যে আবর্তনশীল রয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে শেনঝু-৯ নভোযানের যাত্রা করার দৃশ্য সম্প্রচার করা হয়।

Thursday, June 14, 2012

বাচ্চা বাঘ


বাঘের বাচ্চা তিনটি রাজধানীর মিরপুরে বোটানিক্যাল গার্ডেনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে বাচ্চাগুলো যাতে দৌড়ঝাঁপ করতে পারে, এমন একটি বড় ঘরে এগুলো রাখা হবে। অতিরিক্ত গরম থেকে বাচ্চাগুলো রক্ষা করতে ওই কক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও রাখা হবে।
গতকাল বিশেষজ্ঞ কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০ দিন ধরে আবদ্ধ থাকায় ইতিমধ্যে দুটি বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া দেওয়ায় শরীরে কিছুটা শক্তি ফিরে পেলেও বাচ্চাগুলোর আচরণ পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। গত দুই দিনে বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর ‘আদরের উৎপাতে’ এরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
গতকাল র‌্যাবের পক্ষ থেকে হাতিরপুলের মিনি চিড়িয়াখানার মালিক আবদুল ওয়াদুদকে বাঘের খাঁচার সামনে কোনো দর্শনার্থী প্রবেশ না করতে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। মিনি চিড়িয়াখানার সামনে র‌্যাবের পক্ষ থেকে প্রহরাও বসানো হয়েছে।

Friday, June 8, 2012

ভালো বাবা


দক্ষিণ মেরুতে রয়েছে অ্যান্টার্কটিকার সুবিশাল বরফের রাজ্য। শীতকালে সেখানে আরও ঠান্ডা পড়ে। এ সময় স্ত্রী রাজ পেঙ্গুইন একটি মাত্র ডিম পাড়ে। আর সে ডিম ফোটানোর কাজটা পুরোপুরি নিয়ে নেয় পুরুষ পেঙ্গুইন।
ডিমটাকে বাবা রাজ পেঙ্গুইন দুপায়ের পাতার ওপর তুলে পেটের পালক দিয়ে ঢেকে ওম দিতে থাকে। মা-টি তখন হিম সাগরে যায় খাবারের খোঁজে। যখন জোর বাতাস বইতে শুরু করে, তখন ডিমে তা দিতে থাকা সব বাবা গা ঘেঁষাঘেঁষি করে হিমের দুর্ভোগ থেকে নিজেদের রক্ষা করে। ডিমকে বাঁচায়। কষ্ট যতই হোক, পায়ের পাতা থেকে মুহূর্তের জন্য ডিম পড়তে দেয় না তারা। কারণ বরফের পরশ পাওয়া মাত্র ডিম জমে যাবে। আর বাচ্চা ফুটবে না। রাজ পেঙ্গুইন বাবা এভাবে টানা চার মাস এক ঠায় ডিম আগলে রেখে তা দেয়। এ সময় একটু-আধটু বরফ ছাড়া আর কিছু খায় না সে। খাবে কী করে? সুযোগ তো নেই।

তারপর যেই না ডিম থেকে ছানা বের হয়, তখন আবার অন্য ধরনের কষ্ট। এ সময় বাবা তাঁর গলা থেকে দুধের মতো এক ধরনের তরল পদার্থ বের করে ছানাকে খাওয়ায়।
বাবা কিউইও দায়িত্ব পালনে বেশ সচেতন। সে সুন্দর একখানা বাসা তৈরি করলে সেখানে একসঙ্গে কয়েকটি ডিম পাড়ে মা কিউই। সাধারণত ১০-১২টি ডিম পাড়ে কিউই। তবে তা মাঝেমধ্যে ২০টিতে পৌঁছায়। ডিম পেড়েই মা কিউইয়ের দায়িত্ব শেষ। এবার বাবা বসে যায় তা দিতে। ডিম ফুটতে মাস দুয়েক লাগে। এই দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকে বাবাটি। ডিমে শুধু চুপচাপ বসেই থাকে না বাবা। দিনে বেশ কয়েকবার প্রতিটা ডিম উল্টেপাল্টে দেয়, যাতে সব দিকে সমান তাপ লাগে। 

ব্যাঙের দুনিয়ায় বাবার কথা বলে আর কী হবে, পানিতে ডিম ছাড়ার পর মায়েরই কোনো খোঁজ থাকে না। এর পরও ‘পয়জন অ্যারো ফ্রগ’ বলে পরিচিত এক জাতের বিষাক্ত সবুজ ব্যাঙ অন্য রকম। মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বৃষ্টিবনে থাকে এসব ব্যাঙ। সবুজ গায়ে লম্বা কালো ডোরা রয়েছে এসব ব্যাঙের। ত্বকে মারাত্মক বিষ। মা ব্যাঙ গাছের পাতায় একগাদা ডিম পাড়ার পর কাছে বসে বাবা ব্যাঙটি টানা দুই সপ্তাহ পাহারা দেয়। তারপর যেই না ডিম ফুটে ব্যাঙাচি বের হয়, পিঠের ওপর তুলে নেয় বাবা। নতুন বাড়িতে নিয়ে ছেড়ে দেয় এগুলো। এই নতুন বাড়ি হতে পারে পানি জমে থাকা কোনো গাছের কোটর। হতে পারে পানি জমে থাকা উঁচু কোনো স্থান।
, যেখানে শেওলার মতো পর্যাপ্ত খাবার রয়েছে। ব্যাঙাচিগুলো পূর্ণাঙ্গ খুদে ব্যাঙে পরিণত হতে মাস তিনেক সময় লাগে। এই পুরোটা সময় বাবা ব্যাঙ পাহারা দেয় তাদের। যেকোনো ক্ষতি থেকে ব্যাঙাচিগুলোকে রক্ষা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করে।
বৃষ্টিবনের আরেক দায়িত্বশীল বাবা ‘এম্পেরর টামারিন’। দক্ষিণ আমেরিকার বৃষ্টিবনে বাস করে এই ছোট জাতের বানর। আকারে একেকটা কাঠবিড়ালির সমান হয়। ছোট ছোট দলে বাস করে টামারিন। মা সাধারণত একসঙ্গে দুটি বাচ্চার জন্ম দেয়। এরপর পুরো লালন-পালনের দায়িত্ব বাবার। বাবা যেখানে, তার পিঠে করে ছানাটিও সেখানে। কেবল দুধ খাওয়ার সময় ছানাগুলো মায়ের কাছে যায়।

Thursday, June 7, 2012

শুক্র গ্রহের পরিক্রমণ

সূর্যের সামনে দিয়ে শুক্র গ্রহের পথ-পরিক্রমণের বিরল দৃশ্য গতকাল বুধবার উপভোগ করেছে বিশ্বের মানুষ। এ ধরনের দৃশ্য আবার দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১০০ বছরের বেশি সময়। 
উত্তর আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর অংশে গত মঙ্গলবার গ্রিনিচ মান সময় ২২০০টার কিছুক্ষণ পর এ দৃশ্য শুরু হয়। এ সময় সূর্যের পৃষ্ঠদেশে শুক্র গ্রহকে একটি ছোট্ট কালো বিন্দুর মতো দেখায়।
শুক্রের পরিক্রমণের এ দৃশ্য পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও দৃশ্যমান ছিল। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে অনেকেই তা দেখতে পারেনি। 
আকাশ একেবারে পরিষ্কার থাকার কারণে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে এ দৃশ্য ভালোভাবে দেখা গেছে। কুয়ালালামপুরের জাতীয় মানমন্দিরে এ দৃশ্য দেখতে হাজির হন জং জি কিয়ান। তিনি বলেন, ‘এটা জীবনে একবারই পাওয়ার মতো বিষয়। আপনি যদি এটাকে মিস করেন, তবে ২১১৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাই লোকজন এটা দেখতে আসতে খুবই অধীর।’
বিশ্বের যেসব জায়গায় শুক্রের পরিক্রমণের দৃশ্য খুব ভালোভাবে দেখা গেছে, তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অন্যতম। দেশটির পূর্বাঞ্চল থেকে কেন্দ্রীয় অঞ্চল পর্যন্ত টানা প্রায় সাত ঘণ্টা এ দৃশ্য দেখা গেছে। খারাপ আবহাওয়া যদিও এ দৃশ্য দেখতে অনেকের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তার পরও সিডনি অবজারভেটরিতে টিকিট কেটে এ দৃশ্য দেখতে যায় প্রায় দেড় হাজার লোক। 
দৃশ্যটি এবার প্রথম দেখা যায় উত্তর আমেরিকায়। আর সবশেষে দেখা যায় ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে জড়ো হয় ৬০০ লোক। সেখান থেকে নাসার বিজ্ঞানী রিচার্ড ভনডার্ক বলেন, ‘প্রত্যেকেই একটা দারুণ সময় পার করেছে!’
চোখের ক্ষতি এড়াতে শুক্রের সূর্য ও পৃথিবীর মধ্য দিয়ে অতিক্রমের এ দৃশ্য কেবল অনুমোদিত সৌর ফিল্টার ব্যবহার করে দেখার জন্য আগে থেকেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
সৌরজগতের দ্বিতীয় গ্রহ শুক্রের এ পরিক্রমণ অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। কেননা, ১৭৬৯ সালে গ্রহটির পরিক্রমণ ব্রিটিশ নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন জেমস কুকের দক্ষিণের এ মহাদেশ ‘আবিষ্কারে’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সে বছর ক্যাপ্টেন কুক পরিক্রমণের দৃশ্য পর্যবেক্ষণে একটি বিশেষ জাহাজে করে বেরিয়ে পড়েন। সফলভাবে তা করার পর তাঁকে ‘গ্রেট সাউথ ল্যান্ড’ অন্বেষণে পাঠানো হয়। ধারণা করা হতো, প্রশান্ত মহাসাগরে এটার অস্তিত্ব রয়েছে। ওই যাত্রার সময় তিনি সত্যিই অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে পৌঁছে যান। এ ঘটনার পর ১৭৭০ সালে ব্রিটিশরা মহাদেশটির ওপর তাদের দাবি প্রতিষ্ঠা করে।
বিজ্ঞানীদের হিসাবে, খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫০ বারের বেশি শুক্র গ্রহের এ পরিক্রমণ সংঘটিত হয়েছে। তবে এর আগে শুধু ১৬৩৯, ১৭৬১, ১৭৬৯, ১৮৭৪, ১৮৮২ ও ২০০৪ সালে তা প্রত্যক্ষ করার উল্লেখ রয়েছে।

Saturday, June 2, 2012

প্রজাপতি


প্রজাপতির কথা শুনলেই মনে ভেসে আসে রঙের বর্ণচ্ছটা। রঙিন এই প্রজাপতি ধরতে এর পেছনে ছোটেনি—এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। বাংলাদেশেরই কোনো পার্কে গিয়ে যদি দেখা যায় ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়াচ্ছে হাজারো রঙের, হরেক জাতের প্রজাপতি, তাহলে কেমন হয়?
স্বপ্ন নয়, গাজীপুরের ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্কে গিয়ে এখন দেখা মিলবে হাজারো প্রজাপতির। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বন বিভাগ যৌথভাবে এ পার্ক তৈরি করেছে। গতকাল শুক্রবার ০১ জুন ২০১২ইং এ পার্কের উদ্বোধন করা হয়।
গবেষক দল গত ১২ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণা করে ১০টি গোত্রের ৩০০ প্রজাতির প্রজাপতি শনাক্ত করেছেন। তবে বাংলাদেশে ১০টি গোত্রের ৬০০ প্রজাতির প্রজাপতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। 
এ উদ্যানে ৩৫টি গোত্রের ১৪৬ প্রজাতির প্রায় ৩৭ হাজার গাছ আছে। এখানেই থাকে বাহারি সব প্রজাপতি।



Friday, June 1, 2012

লন্ডন টাওয়ার ব্রিজ


যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজসিংহাসন আরোহণের ৬০ বছর পূর্তি বা হীরকজয়ন্তী উৎসব আজ ১ জুন থেকে লন্ডনে শুরু হচ্ছে। বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনার পাশাপাশি নিত্য ব্যবহার্য পণ্য, খাবারদাবারেও উৎসবের রং লেগেছে। হীরকজয়ন্তী ও আসন্ন লন্ডন অলিম্পিক উপলক্ষে বদলে গেছে রাতের লন্ডন টাওয়ার ব্রিজের দৃশ্যপট। লাল, গাঢ় নীল আর সাদা আলোর দ্যোতনায় টাওয়ার ব্রিজটিকে আগামী ২৫ বছর এমন রূপেই দেখতে পাবে বিশ্ববাসী। 
আগামী রোববার দুপুরে হাজার নৌকার বহর নিয়ে টেমস নদীতে সাত মাইল দীর্ঘ রাজকীয় নৌযাত্রায় অংশ নেবেন রানি এলিজাবেথ। সঙ্গে থাকবেন রাজপরিবারের সদস্যরা।

Thursday, May 31, 2012

মেঠো কাঠঠোকরা


নিরীহ ধরনের চাহনি, চলাফেরায়ও কেমন যেন একটা অলস অলস ভাব—নেই চঞ্চলতা বা ব্যস্ততা, যেন বা আপন কাজে দারুণ মগ্ন এক অসাবধানি পাখি। খাবারের খোঁজে মাটির ওপর দিয়ে ছোট ছোট লাফে সামনে এগোবে, মাঝে মাঝে লেজ নাচাবে। ইংরেজি নাম Eurasian wrynreck। বৈজ্ঞানিক নাম Junx torquilla। মাপ ১৬-১৭ সেন্টিমিটার। মূলত খাবার সংগ্রহ করে মাটি থেকেই। উইপোকা এবং এর ঢিবির সন্ধান পেলে আনন্দে আত্মতৃপ্তিতে এরা গলায় তোলে একধরনের চাপা শব্দ। পিঁপড়ে এবং এর ডিম-বাচ্চা, পোকা-পতঙ্গই মূল খাবার। খেজুরের রস নলি বেয়ে মাটিতে পড়ে জমা হলে সেখানেও ঠোঁট চালায়।
উদাস ধরনের পাখি বটে—দারুণ চতুর-বুদ্ধিমান ও সতর্ক পাখি এরা। মনে হয় কিছুই বোঝে না! আসলে বহু চতুর পাখির চেয়েও এরা বেশি বোঝে। গুইসাপ-বেজি-বনবিড়ালও এদের পাকড়াও করতে পারে না। বিপদের গন্ধ পেলে স্থির হয়, মড়ার মতো শরীর এলিয়ে দিতে পারে। কাছে গেলে ফুড়ুৎ। প্রয়োজন ছাড়া ডাকে না এরা—ডাকতেও যেন এদের কষ্ট। শীতে প্রায় সারা দেশেই কমবেশি দেখা মেলে এই পাখিদের।

Tuesday, May 29, 2012

সপ্তাশ্চর্য


জলপ্রপাতটির নাম ইগুয়াজু। আর্জেন্টিনায় অবস্থিত জলপ্রপাতটি বিশ্বের নতুন প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের একটি বলে নির্বাচিত হয়েছে। ভোটাভুটির ভিত্তিতে ইগুয়াজু সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় স্থান করে নেয়। নতুন সপ্তাশ্চর্য নির্বাচন সংস্থার সভাপতি বার্নাড ওয়েবার গত শনিবার ২৬ মে ২০১২ইং তারিখে এ কথা জানিয়েছেন। সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের উদ্দেশ্যে ২০০৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৯ সালের জুলাই পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ভোট গ্রহণ করা হয়। প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের অপর ছয়টি নিদর্শন হল- আমাজান চিরহরিৎ বনাঞ্চল, ভিয়েতনামের হালং বে, দক্ষিণ কোরিয়ার জিজু উপদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়ার কুমোদো উপদ্বীপ, ফিলিপাইনের পুয়ের্তো প্রিন্সেসা আন্ডারগ্রাউন্ড রিভার ও দক্ষিণ আফ্রিকার টেবিল পর্বত।

Monday, May 28, 2012

ক্যাকটাস


রাঙামাটির রাজদ্বীপ পাড়ায় ফুটেছে এক প্রজাতির ক্যাকটাস ফুল। হালকা বেগুনি ও সাদা রঙের ফুলগুলো ভোররাতে ফোটে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলগুলো ঝরে পড়ে।

Saturday, May 26, 2012

পরীক্ষক বাঁদর


বাঁদরের চেয়ে ভালো বাঁদরামি আর কে জানে! নিজেদের নতুন বানানো গাড়িটি যে কতটা টেকসই, তা প্রমাণ করতে গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হুন্দাই তাই তাদের গাড়িটি তুলে দিয়েছে বাঁদরের হাতে। তাও একটা-দুইটা নয়, পুরো একঝাঁক! মার্সিসাইডের নোউজলে সাফারি পার্কের এই বাঁদরগুলোর আবার দর্শনার্থীদের জ্বালাতন করার ব্যাপারে বিশেষ সুখ্যাতি(!) রয়েছে! বাঁদররাও তাই নতুন গাড়িটিকে আঁচড়ে-কামড়ে আপ্যায়ন করেছে যথেষ্ট! তবে এই কঠিন পরীক্ষায় শেষ অবধি মোটামুটি পাস নম্বর পেয়েই উতরে গেছে হুন্দাই। বাঁদররা একসময় ক্লান্ত হয়ে ফিরে গেলেও, অক্ষতই ছিল কোরিয়ান গাড়িটি।

Friday, May 25, 2012

পাখিফুল


ফুল দেখতে বিস্ময়কর বটে। পাখিফুল গাছের সবুজ পাতার ওপর গোলাকার লাল ফুল আমাদের জাতীয় পতাকার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। একে স্কারলেট ফ্লেম, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান মাউন্টেন রোজ অথবা ব্রাউনিয়া বলে অনেকে। বাংলায় কেউ কেউ ডাকে পাখিফুল, আবার কেউ কেউ ডাকে সুপ্তি নামে। আবার কারও কারও কাছে এ হচ্ছে পারিজাত। তবে আদি বাড়ি ভেনেজুয়েলায় বলে এর প্রচলিত নাম রোজ অব ভেনেজুয়েলা। জ্যামাইকার ইতিহাস লেখক প্যাট্রিক ব্রাউনের নামানুসারে এর নামকরণ ব্রাউনিয়া ককেসিনিয়া, পরিবার caesalpiaceae.
মাঝারি ধরনের গাছ। যতটুকু বাড়ে তাও খুব ধীরে। ব্রাউনিয়া বা পাখিফুল সৌন্দর্যে যেমন অসাধারণ, তেমনই সুন্দর এর পাতা। গাছে ফুল আসার আগে এর পাতা গোলাপি ও সবুজে মিলে একে অসাধারণত্ব পায়। নতুন পাতা দেখতে আমহার্স্টিয়া নবিলিস বা রাজ অশোক পাতার মতো। গাছে ফুল ধরলে আর চোখ ফেরানো যায় না। দুঃখ হলো—রাতে ফোটে, দিনে ঝরে পড়ে। ফুল শেষ হলে গাছটি কেমন মলিন রূপ ধারণ করে। সময়টাকে ফুল হারানোর বেদনায় গাছের শোক বলেও অভিহিত করা যেতে পারে!
নিসর্গী বিপ্রদাস বড়ুয়া ব্রাউনিয়া ককেসিনিয়ার পাখিফুল নামকরণ প্রসঙ্গে বলেছেন—পাখিফুলের এক থোকা পাতা ছোট নরম ডাল থেকে চমৎকার ঝুলে থাকে, যেন ঝুলে থাকা পাখির লেজ। তারপর দ্রুত রং পাল্টে যায় এবং পরে সোজা হয়ে মসৃণ সবুজ পাতার রূপ নেয়। তাই এর নাম পাখিফুল।
উত্তরা গণভবন ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ ছাড়াও পাখিফুল দেখতে হলে বসন্তে কার্জন হলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদ উদ্যান বাগান, রমনা পার্কের রমনা নার্সারি, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান ও বলধা গার্ডেনে চোখ রাখতে পারেন। শিশু একাডেমীর বাগান মধুর ক্যানটিনের সামনে। ধানমন্ডি ও গুলশান এলাকায়ও কিছু পাখিফুল হয়। আর আছে চট্টগ্রামের বৌদ্ধবিহারগুলোতে। বৌদ্ধদের কাছে পাখিফুল খুবই প্রিয়।

Wednesday, May 23, 2012

বলয়গ্রাস


জাপানের রাজধানী টোকিওর আকাশে সূর্যগ্রহণের দৃশ্য। ৯৩২ বছরের মধ্যে জাপানে এই প্রথমবারের মতো 'বলয়গ্রাস' সূর্যগ্রহণ দেখা যায়।

Monday, May 21, 2012

লালখেনি

চিত্রঃ তানভীর খান

সুন্দরবন সংলগ্ন জেলাগুলোর জলজ ঝোপঝাড়বহুল বিল-ঝিল-হাওরসহ যেকোনো জলাশয়-খেতে দেখা যেতে পারে এই পাখিটি। পাখিটির নাম 'লালখেনি'। ইংরেজি নাম Ruddy-Breasted Crake. বৈজ্ঞানিক নাম  Porzana fusca. মাপ ২০-২১ সেন্টিমিটার। ওজন ৮০-১০০ গ্রাম।
একনজরে শরীরের রং এদের পোড়া ইটের মতো। তাতে লালচে বাদামি রঙের আভা মাখানো। গলা সাদা। পেটের দুপাশে ও লেজের তলায় আড়াআড়ি সাদা-কালো সরলরেখা টানা-রঙের চমৎকার সমন্বয়। লেজের ডগা ঘন ঘন নাড়ে। মাথায় খোঁট মারে ঘন ঘন। দৌড় ও লম্ফ দিতেও ওস্তাদ। অহেতুক উত্তেজনায় ভোগে সারাক্ষণ।
মোহনা-হ্রদের পারের ঝোপঝাড়ে এরা গেরিলা কৌশলে ঘুরে বেড়ায়। ডাকবে ভোরে অথবা সকালে, পাঁচ-সাতটি পাখি মিলে 'কিচির-কিচ' জাতীয় শব্দে ডাকবে। অন্য সময় চুপচাপ। শীতে রোদ পোহাবে। দুপুরে দোয়েল পাখির মতো অল্প জলে বুক-পেট ডুবিয়ে ডানা ঝাপটে গোসল করবে।
বাসা করে মাটির ওপরে- আখঘাসের পাতা ও অন্যান্য পাতা দিয়ে। ঝোপঝাড়, ঘাসবন, এমনকি ধানবনেও বাসা করে। ছয় থেকে আটটি ডিম পারে। ডিম ফোটে ২০ থেকে ২৪ দিনে। বাসা করে বর্ষাকালে।

Sunday, May 20, 2012

আবাসন মেলা


চীনে আবাসন ব্যবসায় মন্দা চলছে। ফ্ল্যাট ও প্লটের দাম ক্রমাগতভাবে পড়তির দিকে। ব্যবসা চাঙা করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিক্রি বাড়াতে আয়োজন করা হচ্ছে মেলা ও প্রদর্শনীর। চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশের একটি আবাসন মেলায় কর্মীদের ফ্ল্যাট মডেল সাজাতে দেখা যাচ্ছে।

Friday, May 18, 2012

বাগান প্রদর্শনী


গ্রেট স্প্রিং শো হিসেবে পরিচিত চেলসি ফ্লাওয়ার শো উপলক্ষে লন্ডনে ফুল সাজাচ্ছেন একজন কর্মী। যুক্তরাজ্যে এই ফুলের বাগানের প্রদর্শনী বিখ্যাত। দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফুলপ্রেমীরা এখানে ভির করেন। ২২ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী।

Thursday, May 17, 2012

নীল বনলতা


"নীল বনলতা" বৈজ্ঞানিক নাম Thunbergia grandiflora । ইংরেজি নাম Bengal Clock Vine, Blue Trumpet Vine, Skay Flower ইত্যাদি। এ গাছ আমাদের মধুপুরের শালবনসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়গুলোতে প্রাকৃতিকভাবেই জন্মায়। এছাড়া ঢাকায় মিরপুর উদ্ভিদ উদ্যান কার্যালয়ের পাশেও একটি গাছ আছে।
নীল বনলতা মূলত বাংলাদেশ ও ভারতের গাছ। আমাদের চিরসবুজ বনের গাছপালার সঙ্গে এদের প্রিয় আবাস। তবে দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় আসামে। এরা শক্ত লতার উদ্ভিদ। সাধারণত ৮ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত ওপরে উঠতে পারে। পাতা প্রতিমুখ, সবৃন্তক, পত্রবৃন্ত আড়াই থেকে চার সেন্টিমিটার লম্বা ও কর্কশ, গোঁড়া তাম্বুলাকার, উভয় পৃষ্ট অমসৃণ, করতলাকারে পাঁচ থেকে সাতটি শিরাযুক্ত, বোঁটা মোড়ানো ধরনের, আগা চোখা, ১০ সেন্টিমিটারের মতো লম্বা হতে পারে। কিনারে আছে বেশ কয়েকটি লতি।
ফুলগুলো লম্বা জুলন্ত ডাঁটায় থোকায় থোকায় ঝুলে থাকে। দেখতে অনেকটা ঘণ্টার মতো, দলনল সামান্য বাঁকা, হালকা নীল রঙের অসমান পাপড়ির সংখ্যা পাঁচটি। পুংকেশর চারটি, অর্ধসমান, গলদেশের ভেতরের দিক বাঁকানো, পরাগধানী পাঁচ থেকে নয় মিলিমিটার লম্বা ও দীর্ঘায়িত। ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। ফল বেশ শক্তপোক্ত ধরনের, তিন থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার লম্বা হতে পারে। মালয়েশিয়ায় এ গাছের পাতার ক্বাথ পেটের অসুখে ব্যবহার হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীও নানান কাজে ব্যাবহার করে এ গাছের পাতা। বংশবৃদ্ধি বীজ ও কাটিংয়ে। বাগানের বেরাগুলোতে এ ফুলের ঝুলন্ত সমারোহ সত্যিই মনোমুগ্ধকর।

Wednesday, May 16, 2012

উষ্ণ ঢাকা

চিত্রঃ হাসান রাজা

প্রচণ্ড খরতাপে উষ্ণ হয়ে উঠেছে প্রকৃতি। মানুষের সঙ্গে পশুপাখিও অস্থির হয়ে উঠেছে এই বৈরী আবহাওয়ায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি- এর ঝরনা থেকে এক ফোঁটা পানি পানের চেষ্টা করছে এই তৃষ্ণার্ত শালিক। 

কাজুবাদাম


কাজুবাদাম খুবই সুস্বাদু। দারুণ স্বাদের এ বাদামের চাষ হয় দেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে। কাজুবাদামের উৎপত্তিস্থল ব্রাজিল। বর্তমানে প্রধানত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, কেনিয়া, মোজাম্বিক, তানজানিয়া, মাদাগাস্কার প্রভৃতি দেশে কাজুবাদাম উৎপাদিত হয়ে থাকে। কাজুবাদামের বৈজ্ঞানিক নাম Anacardium occidentale। Anacardiaceae পরিবারের সদস্য এটি।
কাজুবাদাম সাধারণত ভেজে খাওয়া হয়। পাহাড়ি এলাকায় সাধারণত কাজুবাদামকে দা দিয়ে কেটে খুঁচিয়ে শাঁস বের করা হয়। তারপর রোদে শুকিয়ে বীজের আবরণ তুলে ফেলা হয়। লবণ-পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে তারপর ভাজা হয়। এতে লবণাক্ত স্বাদের কাজুবাদাম পাওয়া যায়। আর মিষ্টি স্বাদের কাজুবাদামের জন্য বাদাম ভাজার পর চিনির শিরায় ডুবিয়ে নেয়া হয়। বিভিন্ন খাদ্যের স্বাদ বাড়ানোর জন্যও কাজুবাদাম ব্যবহার করা হয়।
প্রতি ১০০ গ্রাম কাজুবাদামে ৩০.১৯ গ্রাম শর্করা, ১৮.২২ গ্রাম আমিষ, ৪৩.৮৫ গ্রাম চর্বি আছে। কাজুবাদামে বিভিন্ন ভিটামিন, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক খনিজ উপাদান রয়েছে। পূর্ণবয়স্ক গাছ ১০ থেকে ১২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। পাতা অর্ধডিম্বাকার, দেখতে অনেকটা কাঁঠালের পাতার মতো। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি ফুল ফোটার সময়। এপ্রিল থেকে জুন ফল সংগ্রহ করা হয়। কাজুবাদামের দৈর্ঘ্য ৪ থেকে ৫ সেন্টিমিটার। এর ওজন ৫ থেকে ২০ গ্রাম হয়ে থাকে। 

Tuesday, May 15, 2012

কমলাবউ


কমলাবউ দোয়েল আকারের পাখি। লম্বায় ২১ থেকে ২২ সেন্টিমিটার। ওজন ৬০ গ্রাম। পুরুষ পাখির মাথার চাঁদি , ঘাড় ও বুকের রং গাঢ় কমলা। তাতে আছে হালকা হলুদের ছোঁয়া ও লালচে আভা। পেট ও লেজের নিচটা সাদা। পিঠ ও লেজের ওপরটা নীলচে-ধূসর। ডানার প্রান্তে রয়েছে কয়েকটি সাদা দাগ। স্ত্রীটি দেখতে পুরুষটির মতোই, তবে বুকের রং একটু ফিকে এবং পিঠ ও লেজ ছাইরঙা। স্ত্রীপুরুষ নির্বিশেষে ঠোঁট কালচে; পা ও আঙুল হালকা গোলাপি। মায়াবী চোখের মনি পিঙ্গল। বাচ্চাগুলোর রং গাঢ় ধূসর, তার ওপর কমলা ছোপ।
"কমলা-মাথা থ্রাস" (Orange-headed Thrush)। এ দেশে 'কমলা দামা', 'কমলাফুলি' বা 'কমলা দোয়েল' নামেও পরিচিত। ফকিরহাটে 'মেটে দোয়েল' বা 'কমলাবউ' বলে। বৈজ্ঞানিক নাম Zoothera Citrina।এরা বেশ লাজুক। মানুষের চোখের আড়ালে ঝোপ-জঙ্গল, বন-বাগান, বাঁশঝাড়ের স্যাঁতস্যাঁতে নির্জন পরিবেশে থাকতে পছন্দ করে। এপ্রিল থেকে জুন প্রজননকাল। এক থেকে পাঁচ মিটার উঁচু কোনো গাছের ঘন পাতাওয়ালা দুই ডালের ফাঁকে শুকনা পাতা, মস, ঘাস, সরু শিকড় ও মাতি দিয়ে চায়ের পেয়ালার মতো বেশ মজবুত বাসা বানায়। স্ত্রী কমলাবউ তিন-চারটি গোলাপি ডিম পাড়ে। তাতে থাকে নীলচে ও ফিকে আভা আর সামান্য ছিট-ছোপ। ডিম ফোটে ১৪ দিনে। বাচ্চারা উড়তে শেখে ১০ দিনে।

Monday, May 14, 2012

মাতৃস্নেহ

চিত্রঃ পাপ্পু ভট্টাচার্য্য
১৩ মে রবিবার ছিল বিশ্ব মা দিবস। সন্তানের প্রতি মাতৃস্নেহ চিরন্তন। এই স্নেহ-মমতার বন্ধন কেবল মানুষের মধ্যেই সীমিত, তা নয়। প্রাণীর ক্ষেত্রেও যে এর ব্যতিক্রম নেই, এ ছবিতে তা-ই প্রস্ফুটিত। মা বুলবুল নিজে না খেয়ে মুখে করে খাবার এনেছে তার নীড়ের ছোট্ট ছানা দুটোর জন্য। নারায়ণগঞ্জের নতুন পালপাড়া থেকে দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দী করা হয়েছে।

মে ফুল (চিত্র-২)

চিত্রঃ নীরব চৌধুরী

রং ছড়ানো মে ফুল। চিত্রটি খাগড়াছড়ি কৃষি গবেষণাকেন্দ্র তোলা

Sunday, May 13, 2012

বুনো খরগোশ


অতিনিরিহ, ভীতু, বোকা ও অকারণে উত্তেজনায় ভোগা সুন্দর এক প্রাণী হল বুনো খরগোশ। লম্বা-সুদর্শন কান, টলমলে মায়াবী দুটি চোখ। লম্বা দুই কানে এরা চমৎকার কানতালি বাজাতে পারে। দারুন লম্ফবিদ; এমখকি লাফ দিয়ে দুই-তিন হাত উঁচু বাধা টপকে যেতে পারে অনায়াসে। মানুষ বা কুকুরের ধাওয়া খেলে এরা দৌড়ে গিয়ে কোন ঝোপঝাড়ে মাথা গুঁজে দিয়ে ভাবে- দেখবে না শত্রুরা। শরীরের পেছন দিকটা পড়ে যায় শত্রুর কবলে। ধরা পরলে এরা চেঁচায়, হাত-পা ছোড়ে, কামড়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। চোখ বেয়ে কখনো কখনো জল গড়ায়, হয়তো বা কাঁদে। দ্রুতগামী খরগশের মাথায় যদি একটা ছোট্ট ঢিলও আঘাত করে, লুটিয়ে পড়ে, মারা যায় সঙ্গে সঙ্গে।
সারা দেশেই এরা ছিল বহাল তবিয়তে, অন্তত ১৯৭০ সাল পর্যন্ত। খড়বন, কাশ-ঘাশবন, পানের বরজ, খোলা মাঠের উঁচু জায়গার ঝোপঝাড় ও গ্রামীণ বাগানের কিনারের ঝোপঝাড় এদের প্রিয় আবাসস্থল। অল্প জায়গায় আত্মগোপনে পারদর্শী এরা। আখখেত এদের অতিপ্রিয় আবাসভূমি। কুষ্টিয়ার আখমহলে আজও এরা আছে। আছে বৃহত্তর সিলেট-চট্টগ্রামে। 

ডার্ক নামের চিতা



ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের রাজধানী হায়দরাবাদের নেহরু চিড়িয়াখানায় নিজের বেষ্টনীর মধ্যে ডার্ক নামের এক আফ্রিকান চিতা। প্রাণী বিনিময় কর্মসূচির আওতায় ডার্কসহ তিনটি চিতাকে কয়েক দিন আগে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে হায়দরাবাদের এই চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে।

Saturday, May 12, 2012

জ্যাকারান্ডা


জ্যাকারান্ডা ফুল নিয়ে সবার কৌতূহলের শেষ নেই। কারণ ফুলটি অনেকের কাছেই অচেনা। ঢাকাসহ সারা দেশে আছে হাতেগোনা কয়েকটি গাছ। ২০০০ সালের গোঁড়ার দিকে সোহরাওয়াদী উদ্যানের পূর্ব পাশে এবং সড়ক ভবনের প্রবেশপথে দুটি পরিণত গাছ ছিল যা এখন আর নেই। তবে উদ্যানে ছবির হাট লাগোয়া পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত পথটির পাশে একটি গাছ দেখা যায়। তা ছাড়া তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রাঙ্গন, ধানমণ্ডি এলাকাসহ রমনা পার্ক ও মিরপুরের উদ্ভিদ উদ্যানেও কয়েকটি গাছ চোখে পড়ে।
এ গাছ অপেক্ষাকৃত কম শীতের দেশগুলোতে ভালো জন্মায়; আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, পর্তুগাল, ইতালি ও জাম্বিয়ায় বেশ সহজলভ্য। জ্যাকারান্ডা Black Poui নামেও পরিচিত। এই গাছ দেশি নয় জন্ম ব্রাজিলে। 

মে ফুল (চিত্র-১)


মে মাস আসলেই লাল ও হলুদ রঙের অপূর্ব সমন্বয়ে হেসে ওঠে ফুলটি। এ কারণেই হয়তো ফুলটির নাম দেওয়া হয়েছে "মে ফ্লাওয়ার"। ফুলটি বছরে একবারই ফোটে। ছবিটি ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তোলা।

Friday, May 11, 2012

প্রতিযোগিতা


চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতে সাম্পানবাইচ। কর্ণফুলী নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত রাখার দাবিতে সাম্পান মাঝি কল্যাণ ফেডারেশনসহ দুটি সংগঠন গত ১০ই মে ২০১২ইং তারিখে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

Thursday, May 10, 2012

কৃষ্ণচূড়ার আগুন


ইট, পাথর, কংক্রিটের শহরে অন্যরকম আগুন লেগেছে। সূর্যের সব উত্তাপ ধার করে যেন রক্ত রঙে সেজেছে কৃষ্ণচূড়া। কম যায় না তার সঙ্গী-সাথিরাও। সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে বেগুনি জারুল ও হলদে সোনালি রঙের সোনালু ফুল। চট্টগ্রাম শহরের সিআরবি, সার্কিট হাউস ও পাহাড়তলি এলাকায় পরিকল্পিতভাবে পর পর লাগানো হয়েছে কৃষ্ণচূড়া, সোনালু ও জারুল। গ্রীষ্মের কড়া রোদে সৌন্দর্যের ডালি খুলে বসেছে এসব ফুল। 
নগরের প্রাণকেন্দ্র লালদীঘি নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। ঐতিহাসিকদের মতে, ইংরেজ শাসনামলে লালদীঘির চারপাশে ছিল বড় বড় কৃষ্ণচূড়া গাছ। গ্রীষ্মে দীঘির জল লাল হয়ে উঠত ঝরে পরা কৃষ্ণচূড়ার পাপড়িতে।

Wednesday, May 9, 2012

ছবির কবি

চিত্রঃ রণবীর মিত্র বসুনীয়া

চিত্রঃ সাদিয়া আজগর

প্রথম আলোর ছবির কবি কলামে একজন সর্বোচ্চ চারটি ছবি পাঠাতে পারবেন। ছবির সঙ্গে নাম-ঠিকানা ও ফোন নম্বর পাঠাতে হবে। ছবি পাঠানোর ঠিকানাঃ swapno.chobi@gmail.com