অতিনিরিহ, ভীতু, বোকা ও অকারণে উত্তেজনায় ভোগা সুন্দর এক প্রাণী হল বুনো খরগোশ। লম্বা-সুদর্শন কান, টলমলে মায়াবী দুটি চোখ। লম্বা দুই কানে এরা চমৎকার কানতালি বাজাতে পারে। দারুন লম্ফবিদ; এমখকি লাফ দিয়ে দুই-তিন হাত উঁচু বাধা টপকে যেতে পারে অনায়াসে। মানুষ বা কুকুরের ধাওয়া খেলে এরা দৌড়ে গিয়ে কোন ঝোপঝাড়ে মাথা গুঁজে দিয়ে ভাবে- দেখবে না শত্রুরা। শরীরের পেছন দিকটা পড়ে যায় শত্রুর কবলে। ধরা পরলে এরা চেঁচায়, হাত-পা ছোড়ে, কামড়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। চোখ বেয়ে কখনো কখনো জল গড়ায়, হয়তো বা কাঁদে। দ্রুতগামী খরগশের মাথায় যদি একটা ছোট্ট ঢিলও আঘাত করে, লুটিয়ে পড়ে, মারা যায় সঙ্গে সঙ্গে।
সারা দেশেই এরা ছিল বহাল তবিয়তে, অন্তত ১৯৭০ সাল পর্যন্ত। খড়বন, কাশ-ঘাশবন, পানের বরজ, খোলা মাঠের উঁচু জায়গার ঝোপঝাড় ও গ্রামীণ বাগানের কিনারের ঝোপঝাড় এদের প্রিয় আবাসস্থল। অল্প জায়গায় আত্মগোপনে পারদর্শী এরা। আখখেত এদের অতিপ্রিয় আবাসভূমি। কুষ্টিয়ার আখমহলে আজও এরা আছে। আছে বৃহত্তর সিলেট-চট্টগ্রামে।
No comments:
Post a Comment