Pages

Thursday, May 31, 2012

মেঠো কাঠঠোকরা


নিরীহ ধরনের চাহনি, চলাফেরায়ও কেমন যেন একটা অলস অলস ভাব—নেই চঞ্চলতা বা ব্যস্ততা, যেন বা আপন কাজে দারুণ মগ্ন এক অসাবধানি পাখি। খাবারের খোঁজে মাটির ওপর দিয়ে ছোট ছোট লাফে সামনে এগোবে, মাঝে মাঝে লেজ নাচাবে। ইংরেজি নাম Eurasian wrynreck। বৈজ্ঞানিক নাম Junx torquilla। মাপ ১৬-১৭ সেন্টিমিটার। মূলত খাবার সংগ্রহ করে মাটি থেকেই। উইপোকা এবং এর ঢিবির সন্ধান পেলে আনন্দে আত্মতৃপ্তিতে এরা গলায় তোলে একধরনের চাপা শব্দ। পিঁপড়ে এবং এর ডিম-বাচ্চা, পোকা-পতঙ্গই মূল খাবার। খেজুরের রস নলি বেয়ে মাটিতে পড়ে জমা হলে সেখানেও ঠোঁট চালায়।
উদাস ধরনের পাখি বটে—দারুণ চতুর-বুদ্ধিমান ও সতর্ক পাখি এরা। মনে হয় কিছুই বোঝে না! আসলে বহু চতুর পাখির চেয়েও এরা বেশি বোঝে। গুইসাপ-বেজি-বনবিড়ালও এদের পাকড়াও করতে পারে না। বিপদের গন্ধ পেলে স্থির হয়, মড়ার মতো শরীর এলিয়ে দিতে পারে। কাছে গেলে ফুড়ুৎ। প্রয়োজন ছাড়া ডাকে না এরা—ডাকতেও যেন এদের কষ্ট। শীতে প্রায় সারা দেশেই কমবেশি দেখা মেলে এই পাখিদের।

Tuesday, May 29, 2012

সপ্তাশ্চর্য


জলপ্রপাতটির নাম ইগুয়াজু। আর্জেন্টিনায় অবস্থিত জলপ্রপাতটি বিশ্বের নতুন প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের একটি বলে নির্বাচিত হয়েছে। ভোটাভুটির ভিত্তিতে ইগুয়াজু সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় স্থান করে নেয়। নতুন সপ্তাশ্চর্য নির্বাচন সংস্থার সভাপতি বার্নাড ওয়েবার গত শনিবার ২৬ মে ২০১২ইং তারিখে এ কথা জানিয়েছেন। সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের উদ্দেশ্যে ২০০৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৯ সালের জুলাই পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ভোট গ্রহণ করা হয়। প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের অপর ছয়টি নিদর্শন হল- আমাজান চিরহরিৎ বনাঞ্চল, ভিয়েতনামের হালং বে, দক্ষিণ কোরিয়ার জিজু উপদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়ার কুমোদো উপদ্বীপ, ফিলিপাইনের পুয়ের্তো প্রিন্সেসা আন্ডারগ্রাউন্ড রিভার ও দক্ষিণ আফ্রিকার টেবিল পর্বত।

Monday, May 28, 2012

ক্যাকটাস


রাঙামাটির রাজদ্বীপ পাড়ায় ফুটেছে এক প্রজাতির ক্যাকটাস ফুল। হালকা বেগুনি ও সাদা রঙের ফুলগুলো ভোররাতে ফোটে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুলগুলো ঝরে পড়ে।

Saturday, May 26, 2012

পরীক্ষক বাঁদর


বাঁদরের চেয়ে ভালো বাঁদরামি আর কে জানে! নিজেদের নতুন বানানো গাড়িটি যে কতটা টেকসই, তা প্রমাণ করতে গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হুন্দাই তাই তাদের গাড়িটি তুলে দিয়েছে বাঁদরের হাতে। তাও একটা-দুইটা নয়, পুরো একঝাঁক! মার্সিসাইডের নোউজলে সাফারি পার্কের এই বাঁদরগুলোর আবার দর্শনার্থীদের জ্বালাতন করার ব্যাপারে বিশেষ সুখ্যাতি(!) রয়েছে! বাঁদররাও তাই নতুন গাড়িটিকে আঁচড়ে-কামড়ে আপ্যায়ন করেছে যথেষ্ট! তবে এই কঠিন পরীক্ষায় শেষ অবধি মোটামুটি পাস নম্বর পেয়েই উতরে গেছে হুন্দাই। বাঁদররা একসময় ক্লান্ত হয়ে ফিরে গেলেও, অক্ষতই ছিল কোরিয়ান গাড়িটি।

Friday, May 25, 2012

পাখিফুল


ফুল দেখতে বিস্ময়কর বটে। পাখিফুল গাছের সবুজ পাতার ওপর গোলাকার লাল ফুল আমাদের জাতীয় পতাকার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। একে স্কারলেট ফ্লেম, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান মাউন্টেন রোজ অথবা ব্রাউনিয়া বলে অনেকে। বাংলায় কেউ কেউ ডাকে পাখিফুল, আবার কেউ কেউ ডাকে সুপ্তি নামে। আবার কারও কারও কাছে এ হচ্ছে পারিজাত। তবে আদি বাড়ি ভেনেজুয়েলায় বলে এর প্রচলিত নাম রোজ অব ভেনেজুয়েলা। জ্যামাইকার ইতিহাস লেখক প্যাট্রিক ব্রাউনের নামানুসারে এর নামকরণ ব্রাউনিয়া ককেসিনিয়া, পরিবার caesalpiaceae.
মাঝারি ধরনের গাছ। যতটুকু বাড়ে তাও খুব ধীরে। ব্রাউনিয়া বা পাখিফুল সৌন্দর্যে যেমন অসাধারণ, তেমনই সুন্দর এর পাতা। গাছে ফুল আসার আগে এর পাতা গোলাপি ও সবুজে মিলে একে অসাধারণত্ব পায়। নতুন পাতা দেখতে আমহার্স্টিয়া নবিলিস বা রাজ অশোক পাতার মতো। গাছে ফুল ধরলে আর চোখ ফেরানো যায় না। দুঃখ হলো—রাতে ফোটে, দিনে ঝরে পড়ে। ফুল শেষ হলে গাছটি কেমন মলিন রূপ ধারণ করে। সময়টাকে ফুল হারানোর বেদনায় গাছের শোক বলেও অভিহিত করা যেতে পারে!
নিসর্গী বিপ্রদাস বড়ুয়া ব্রাউনিয়া ককেসিনিয়ার পাখিফুল নামকরণ প্রসঙ্গে বলেছেন—পাখিফুলের এক থোকা পাতা ছোট নরম ডাল থেকে চমৎকার ঝুলে থাকে, যেন ঝুলে থাকা পাখির লেজ। তারপর দ্রুত রং পাল্টে যায় এবং পরে সোজা হয়ে মসৃণ সবুজ পাতার রূপ নেয়। তাই এর নাম পাখিফুল।
উত্তরা গণভবন ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ ছাড়াও পাখিফুল দেখতে হলে বসন্তে কার্জন হলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদ উদ্যান বাগান, রমনা পার্কের রমনা নার্সারি, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান ও বলধা গার্ডেনে চোখ রাখতে পারেন। শিশু একাডেমীর বাগান মধুর ক্যানটিনের সামনে। ধানমন্ডি ও গুলশান এলাকায়ও কিছু পাখিফুল হয়। আর আছে চট্টগ্রামের বৌদ্ধবিহারগুলোতে। বৌদ্ধদের কাছে পাখিফুল খুবই প্রিয়।

Wednesday, May 23, 2012

বলয়গ্রাস


জাপানের রাজধানী টোকিওর আকাশে সূর্যগ্রহণের দৃশ্য। ৯৩২ বছরের মধ্যে জাপানে এই প্রথমবারের মতো 'বলয়গ্রাস' সূর্যগ্রহণ দেখা যায়।

Monday, May 21, 2012

লালখেনি

চিত্রঃ তানভীর খান

সুন্দরবন সংলগ্ন জেলাগুলোর জলজ ঝোপঝাড়বহুল বিল-ঝিল-হাওরসহ যেকোনো জলাশয়-খেতে দেখা যেতে পারে এই পাখিটি। পাখিটির নাম 'লালখেনি'। ইংরেজি নাম Ruddy-Breasted Crake. বৈজ্ঞানিক নাম  Porzana fusca. মাপ ২০-২১ সেন্টিমিটার। ওজন ৮০-১০০ গ্রাম।
একনজরে শরীরের রং এদের পোড়া ইটের মতো। তাতে লালচে বাদামি রঙের আভা মাখানো। গলা সাদা। পেটের দুপাশে ও লেজের তলায় আড়াআড়ি সাদা-কালো সরলরেখা টানা-রঙের চমৎকার সমন্বয়। লেজের ডগা ঘন ঘন নাড়ে। মাথায় খোঁট মারে ঘন ঘন। দৌড় ও লম্ফ দিতেও ওস্তাদ। অহেতুক উত্তেজনায় ভোগে সারাক্ষণ।
মোহনা-হ্রদের পারের ঝোপঝাড়ে এরা গেরিলা কৌশলে ঘুরে বেড়ায়। ডাকবে ভোরে অথবা সকালে, পাঁচ-সাতটি পাখি মিলে 'কিচির-কিচ' জাতীয় শব্দে ডাকবে। অন্য সময় চুপচাপ। শীতে রোদ পোহাবে। দুপুরে দোয়েল পাখির মতো অল্প জলে বুক-পেট ডুবিয়ে ডানা ঝাপটে গোসল করবে।
বাসা করে মাটির ওপরে- আখঘাসের পাতা ও অন্যান্য পাতা দিয়ে। ঝোপঝাড়, ঘাসবন, এমনকি ধানবনেও বাসা করে। ছয় থেকে আটটি ডিম পারে। ডিম ফোটে ২০ থেকে ২৪ দিনে। বাসা করে বর্ষাকালে।

Sunday, May 20, 2012

আবাসন মেলা


চীনে আবাসন ব্যবসায় মন্দা চলছে। ফ্ল্যাট ও প্লটের দাম ক্রমাগতভাবে পড়তির দিকে। ব্যবসা চাঙা করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিক্রি বাড়াতে আয়োজন করা হচ্ছে মেলা ও প্রদর্শনীর। চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশের একটি আবাসন মেলায় কর্মীদের ফ্ল্যাট মডেল সাজাতে দেখা যাচ্ছে।

Friday, May 18, 2012

বাগান প্রদর্শনী


গ্রেট স্প্রিং শো হিসেবে পরিচিত চেলসি ফ্লাওয়ার শো উপলক্ষে লন্ডনে ফুল সাজাচ্ছেন একজন কর্মী। যুক্তরাজ্যে এই ফুলের বাগানের প্রদর্শনী বিখ্যাত। দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফুলপ্রেমীরা এখানে ভির করেন। ২২ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী।

Thursday, May 17, 2012

নীল বনলতা


"নীল বনলতা" বৈজ্ঞানিক নাম Thunbergia grandiflora । ইংরেজি নাম Bengal Clock Vine, Blue Trumpet Vine, Skay Flower ইত্যাদি। এ গাছ আমাদের মধুপুরের শালবনসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়গুলোতে প্রাকৃতিকভাবেই জন্মায়। এছাড়া ঢাকায় মিরপুর উদ্ভিদ উদ্যান কার্যালয়ের পাশেও একটি গাছ আছে।
নীল বনলতা মূলত বাংলাদেশ ও ভারতের গাছ। আমাদের চিরসবুজ বনের গাছপালার সঙ্গে এদের প্রিয় আবাস। তবে দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় আসামে। এরা শক্ত লতার উদ্ভিদ। সাধারণত ৮ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত ওপরে উঠতে পারে। পাতা প্রতিমুখ, সবৃন্তক, পত্রবৃন্ত আড়াই থেকে চার সেন্টিমিটার লম্বা ও কর্কশ, গোঁড়া তাম্বুলাকার, উভয় পৃষ্ট অমসৃণ, করতলাকারে পাঁচ থেকে সাতটি শিরাযুক্ত, বোঁটা মোড়ানো ধরনের, আগা চোখা, ১০ সেন্টিমিটারের মতো লম্বা হতে পারে। কিনারে আছে বেশ কয়েকটি লতি।
ফুলগুলো লম্বা জুলন্ত ডাঁটায় থোকায় থোকায় ঝুলে থাকে। দেখতে অনেকটা ঘণ্টার মতো, দলনল সামান্য বাঁকা, হালকা নীল রঙের অসমান পাপড়ির সংখ্যা পাঁচটি। পুংকেশর চারটি, অর্ধসমান, গলদেশের ভেতরের দিক বাঁকানো, পরাগধানী পাঁচ থেকে নয় মিলিমিটার লম্বা ও দীর্ঘায়িত। ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। ফল বেশ শক্তপোক্ত ধরনের, তিন থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার লম্বা হতে পারে। মালয়েশিয়ায় এ গাছের পাতার ক্বাথ পেটের অসুখে ব্যবহার হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীও নানান কাজে ব্যাবহার করে এ গাছের পাতা। বংশবৃদ্ধি বীজ ও কাটিংয়ে। বাগানের বেরাগুলোতে এ ফুলের ঝুলন্ত সমারোহ সত্যিই মনোমুগ্ধকর।

Wednesday, May 16, 2012

উষ্ণ ঢাকা

চিত্রঃ হাসান রাজা

প্রচণ্ড খরতাপে উষ্ণ হয়ে উঠেছে প্রকৃতি। মানুষের সঙ্গে পশুপাখিও অস্থির হয়ে উঠেছে এই বৈরী আবহাওয়ায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি- এর ঝরনা থেকে এক ফোঁটা পানি পানের চেষ্টা করছে এই তৃষ্ণার্ত শালিক। 

কাজুবাদাম


কাজুবাদাম খুবই সুস্বাদু। দারুণ স্বাদের এ বাদামের চাষ হয় দেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে। কাজুবাদামের উৎপত্তিস্থল ব্রাজিল। বর্তমানে প্রধানত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, কেনিয়া, মোজাম্বিক, তানজানিয়া, মাদাগাস্কার প্রভৃতি দেশে কাজুবাদাম উৎপাদিত হয়ে থাকে। কাজুবাদামের বৈজ্ঞানিক নাম Anacardium occidentale। Anacardiaceae পরিবারের সদস্য এটি।
কাজুবাদাম সাধারণত ভেজে খাওয়া হয়। পাহাড়ি এলাকায় সাধারণত কাজুবাদামকে দা দিয়ে কেটে খুঁচিয়ে শাঁস বের করা হয়। তারপর রোদে শুকিয়ে বীজের আবরণ তুলে ফেলা হয়। লবণ-পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে তারপর ভাজা হয়। এতে লবণাক্ত স্বাদের কাজুবাদাম পাওয়া যায়। আর মিষ্টি স্বাদের কাজুবাদামের জন্য বাদাম ভাজার পর চিনির শিরায় ডুবিয়ে নেয়া হয়। বিভিন্ন খাদ্যের স্বাদ বাড়ানোর জন্যও কাজুবাদাম ব্যবহার করা হয়।
প্রতি ১০০ গ্রাম কাজুবাদামে ৩০.১৯ গ্রাম শর্করা, ১৮.২২ গ্রাম আমিষ, ৪৩.৮৫ গ্রাম চর্বি আছে। কাজুবাদামে বিভিন্ন ভিটামিন, লৌহ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক খনিজ উপাদান রয়েছে। পূর্ণবয়স্ক গাছ ১০ থেকে ১২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। পাতা অর্ধডিম্বাকার, দেখতে অনেকটা কাঁঠালের পাতার মতো। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি ফুল ফোটার সময়। এপ্রিল থেকে জুন ফল সংগ্রহ করা হয়। কাজুবাদামের দৈর্ঘ্য ৪ থেকে ৫ সেন্টিমিটার। এর ওজন ৫ থেকে ২০ গ্রাম হয়ে থাকে। 

Tuesday, May 15, 2012

কমলাবউ


কমলাবউ দোয়েল আকারের পাখি। লম্বায় ২১ থেকে ২২ সেন্টিমিটার। ওজন ৬০ গ্রাম। পুরুষ পাখির মাথার চাঁদি , ঘাড় ও বুকের রং গাঢ় কমলা। তাতে আছে হালকা হলুদের ছোঁয়া ও লালচে আভা। পেট ও লেজের নিচটা সাদা। পিঠ ও লেজের ওপরটা নীলচে-ধূসর। ডানার প্রান্তে রয়েছে কয়েকটি সাদা দাগ। স্ত্রীটি দেখতে পুরুষটির মতোই, তবে বুকের রং একটু ফিকে এবং পিঠ ও লেজ ছাইরঙা। স্ত্রীপুরুষ নির্বিশেষে ঠোঁট কালচে; পা ও আঙুল হালকা গোলাপি। মায়াবী চোখের মনি পিঙ্গল। বাচ্চাগুলোর রং গাঢ় ধূসর, তার ওপর কমলা ছোপ।
"কমলা-মাথা থ্রাস" (Orange-headed Thrush)। এ দেশে 'কমলা দামা', 'কমলাফুলি' বা 'কমলা দোয়েল' নামেও পরিচিত। ফকিরহাটে 'মেটে দোয়েল' বা 'কমলাবউ' বলে। বৈজ্ঞানিক নাম Zoothera Citrina।এরা বেশ লাজুক। মানুষের চোখের আড়ালে ঝোপ-জঙ্গল, বন-বাগান, বাঁশঝাড়ের স্যাঁতস্যাঁতে নির্জন পরিবেশে থাকতে পছন্দ করে। এপ্রিল থেকে জুন প্রজননকাল। এক থেকে পাঁচ মিটার উঁচু কোনো গাছের ঘন পাতাওয়ালা দুই ডালের ফাঁকে শুকনা পাতা, মস, ঘাস, সরু শিকড় ও মাতি দিয়ে চায়ের পেয়ালার মতো বেশ মজবুত বাসা বানায়। স্ত্রী কমলাবউ তিন-চারটি গোলাপি ডিম পাড়ে। তাতে থাকে নীলচে ও ফিকে আভা আর সামান্য ছিট-ছোপ। ডিম ফোটে ১৪ দিনে। বাচ্চারা উড়তে শেখে ১০ দিনে।

Monday, May 14, 2012

মাতৃস্নেহ

চিত্রঃ পাপ্পু ভট্টাচার্য্য
১৩ মে রবিবার ছিল বিশ্ব মা দিবস। সন্তানের প্রতি মাতৃস্নেহ চিরন্তন। এই স্নেহ-মমতার বন্ধন কেবল মানুষের মধ্যেই সীমিত, তা নয়। প্রাণীর ক্ষেত্রেও যে এর ব্যতিক্রম নেই, এ ছবিতে তা-ই প্রস্ফুটিত। মা বুলবুল নিজে না খেয়ে মুখে করে খাবার এনেছে তার নীড়ের ছোট্ট ছানা দুটোর জন্য। নারায়ণগঞ্জের নতুন পালপাড়া থেকে দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দী করা হয়েছে।

মে ফুল (চিত্র-২)

চিত্রঃ নীরব চৌধুরী

রং ছড়ানো মে ফুল। চিত্রটি খাগড়াছড়ি কৃষি গবেষণাকেন্দ্র তোলা

Sunday, May 13, 2012

বুনো খরগোশ


অতিনিরিহ, ভীতু, বোকা ও অকারণে উত্তেজনায় ভোগা সুন্দর এক প্রাণী হল বুনো খরগোশ। লম্বা-সুদর্শন কান, টলমলে মায়াবী দুটি চোখ। লম্বা দুই কানে এরা চমৎকার কানতালি বাজাতে পারে। দারুন লম্ফবিদ; এমখকি লাফ দিয়ে দুই-তিন হাত উঁচু বাধা টপকে যেতে পারে অনায়াসে। মানুষ বা কুকুরের ধাওয়া খেলে এরা দৌড়ে গিয়ে কোন ঝোপঝাড়ে মাথা গুঁজে দিয়ে ভাবে- দেখবে না শত্রুরা। শরীরের পেছন দিকটা পড়ে যায় শত্রুর কবলে। ধরা পরলে এরা চেঁচায়, হাত-পা ছোড়ে, কামড়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। চোখ বেয়ে কখনো কখনো জল গড়ায়, হয়তো বা কাঁদে। দ্রুতগামী খরগশের মাথায় যদি একটা ছোট্ট ঢিলও আঘাত করে, লুটিয়ে পড়ে, মারা যায় সঙ্গে সঙ্গে।
সারা দেশেই এরা ছিল বহাল তবিয়তে, অন্তত ১৯৭০ সাল পর্যন্ত। খড়বন, কাশ-ঘাশবন, পানের বরজ, খোলা মাঠের উঁচু জায়গার ঝোপঝাড় ও গ্রামীণ বাগানের কিনারের ঝোপঝাড় এদের প্রিয় আবাসস্থল। অল্প জায়গায় আত্মগোপনে পারদর্শী এরা। আখখেত এদের অতিপ্রিয় আবাসভূমি। কুষ্টিয়ার আখমহলে আজও এরা আছে। আছে বৃহত্তর সিলেট-চট্টগ্রামে। 

ডার্ক নামের চিতা



ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের রাজধানী হায়দরাবাদের নেহরু চিড়িয়াখানায় নিজের বেষ্টনীর মধ্যে ডার্ক নামের এক আফ্রিকান চিতা। প্রাণী বিনিময় কর্মসূচির আওতায় ডার্কসহ তিনটি চিতাকে কয়েক দিন আগে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে হায়দরাবাদের এই চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে।

Saturday, May 12, 2012

জ্যাকারান্ডা


জ্যাকারান্ডা ফুল নিয়ে সবার কৌতূহলের শেষ নেই। কারণ ফুলটি অনেকের কাছেই অচেনা। ঢাকাসহ সারা দেশে আছে হাতেগোনা কয়েকটি গাছ। ২০০০ সালের গোঁড়ার দিকে সোহরাওয়াদী উদ্যানের পূর্ব পাশে এবং সড়ক ভবনের প্রবেশপথে দুটি পরিণত গাছ ছিল যা এখন আর নেই। তবে উদ্যানে ছবির হাট লাগোয়া পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত পথটির পাশে একটি গাছ দেখা যায়। তা ছাড়া তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রাঙ্গন, ধানমণ্ডি এলাকাসহ রমনা পার্ক ও মিরপুরের উদ্ভিদ উদ্যানেও কয়েকটি গাছ চোখে পড়ে।
এ গাছ অপেক্ষাকৃত কম শীতের দেশগুলোতে ভালো জন্মায়; আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, পর্তুগাল, ইতালি ও জাম্বিয়ায় বেশ সহজলভ্য। জ্যাকারান্ডা Black Poui নামেও পরিচিত। এই গাছ দেশি নয় জন্ম ব্রাজিলে। 

মে ফুল (চিত্র-১)


মে মাস আসলেই লাল ও হলুদ রঙের অপূর্ব সমন্বয়ে হেসে ওঠে ফুলটি। এ কারণেই হয়তো ফুলটির নাম দেওয়া হয়েছে "মে ফ্লাওয়ার"। ফুলটি বছরে একবারই ফোটে। ছবিটি ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তোলা।

Friday, May 11, 2012

প্রতিযোগিতা


চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতে সাম্পানবাইচ। কর্ণফুলী নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত রাখার দাবিতে সাম্পান মাঝি কল্যাণ ফেডারেশনসহ দুটি সংগঠন গত ১০ই মে ২০১২ইং তারিখে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

Thursday, May 10, 2012

কৃষ্ণচূড়ার আগুন


ইট, পাথর, কংক্রিটের শহরে অন্যরকম আগুন লেগেছে। সূর্যের সব উত্তাপ ধার করে যেন রক্ত রঙে সেজেছে কৃষ্ণচূড়া। কম যায় না তার সঙ্গী-সাথিরাও। সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে বেগুনি জারুল ও হলদে সোনালি রঙের সোনালু ফুল। চট্টগ্রাম শহরের সিআরবি, সার্কিট হাউস ও পাহাড়তলি এলাকায় পরিকল্পিতভাবে পর পর লাগানো হয়েছে কৃষ্ণচূড়া, সোনালু ও জারুল। গ্রীষ্মের কড়া রোদে সৌন্দর্যের ডালি খুলে বসেছে এসব ফুল। 
নগরের প্রাণকেন্দ্র লালদীঘি নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। ঐতিহাসিকদের মতে, ইংরেজ শাসনামলে লালদীঘির চারপাশে ছিল বড় বড় কৃষ্ণচূড়া গাছ। গ্রীষ্মে দীঘির জল লাল হয়ে উঠত ঝরে পরা কৃষ্ণচূড়ার পাপড়িতে।

Wednesday, May 9, 2012

ছবির কবি

চিত্রঃ রণবীর মিত্র বসুনীয়া

চিত্রঃ সাদিয়া আজগর

প্রথম আলোর ছবির কবি কলামে একজন সর্বোচ্চ চারটি ছবি পাঠাতে পারবেন। ছবির সঙ্গে নাম-ঠিকানা ও ফোন নম্বর পাঠাতে হবে। ছবি পাঠানোর ঠিকানাঃ swapno.chobi@gmail.com 

Tuesday, May 8, 2012

কবিগুরু


বিমান দুর্ঘটনা


শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনীর একটি উড়োজাহাজ।

আইসক্রিম


সিলেটে প্রখর রোদ আর গরম। হযরত চাষনী পীর (রহঃ)-এর মাজার এলাকার এই বানরটি মানুষের কাছ থেকে পাওয়া আইসক্রিম নিয়ে গাছে উঠে যায়। ডালে বসে আয়েশ করে খাওয়া শুরু করে আইসক্রিমটি।

Monday, May 7, 2012

বাচ্চা শালিক


উঁচু জারুল গাছের দুটি ডালের মাঝখানে দড়ি দিয়ে শক্ত করে কলস বেঁধে রাখা। এতে বাসা বেঁধেছে শালিক পাখি। সেখানে ডিম ফুটে শালিকের চারটি বাচ্চারও জন্ম হয়েছে। একটি বাচ্চা বাহিরের আলোতে মুখ বের করে ইতিউতি করছে। চিত্রটি মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার তালতলা গ্রামের গৌর কৃষ্ণ পালের বাড়ি থেকে তোলা।

Saturday, May 5, 2012

পেঁচা

কাঁঠাল গাছে বসা পেঁচাযুগল
'তোমাকে খুঁজেছি আমি নির্জন পেঁচার মত প্রানে' অনেকটা জীবনানন্দ দাশের কবিতার এই পঙক্তির মতোই কাঁঠালশাখায় ঠায় বসে ছিল একটি পেঁচা। এই নির্জন প্রতীক্ষায় সাড়া দিতেই যেন ১০-১২ দিন পর তার সঙ্গে এসে যোগ দিয়েছে আরেকটি। দুই সপ্তাহ পার হতে চললেও একই স্থানে পেঁচাযুগলর বসে থাকা এলাকাবাসীর মধ্যে কৌতূহল তৈরি করেছে।
মৌলভীবাজার শহরের টিবি হাসপাতাল সড়কে সাবেক নারী সাংসদ হোছনে আরা ওয়াহিদের বাসার একটি কাঁঠালগাছে স্থির বসে আছে ওই যুগল। বাসার বাসিন্দা মোঃ আব্দুল খালিক বলেন প্রায় ১০-১২ দিন ধরে গাছটির ডালে একটি পেঁচা বসে ছিল। রাত-দিন একই স্থানে একে দেখা যায়। পরে পাশে আরও একটি পেঁচা এসে বসেছে। নতুনটি আসার পর তার মধ্যে প্রানচাঞ্চল্য ফিরেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একসময় বর্ষিজুরা পাহাড়সংলগ্ন এলাকায় পেঁচার দেখা মিলত। রাতে তাঁদের ডাক শোনা যেত। এখন লোকবসতি বেড়েছে ও গাছপালা কমেছে। তাই আর আগের মতো পেঁচা দেখা যায় না। 

Friday, May 4, 2012

সমুদ্রে মাছ ধরা

বঙ্গপসাগরের উথাল-পাতাল ঢেউ আর প্রতিকুল আবহাওয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে মাছ ধরতে যান জেলেরা। এঁদের নৌকা, জাল নেই; আছে জীবনের ঝুঁকি আর হারভাঙা শ্রম। পারিশ্রমিকও স্বল্প। মহাজনের জাল আর ট্রলার নিয়ে এই ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রযাত্রা যেন তাঁদের অনিবার্য নিয়তি। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে ২ মে ছবিটি তোলা হয়েছে।  


দ্য স্ক্রিম

text

Thursday, May 3, 2012

প্রতিবাদ


এক তিব্বতীয় ব্যাক্তি নয়া দিল্লীতে নিজের গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দিল সেখানে চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও এর সফরের প্রতিবাদস্বরুপ। তার এই ভিন্নধর্মী প্রতিবাদে অবাক হয়ে গেছে বিশ্ববাসী। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যদি সে প্রাণে বেঁচে যায় তাহলে প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও এর ভাগ্য ভালো হবে। শহরের একটি কেন্দ্রীয় র্যা লিতে অংশগ্রহণকালে ২৭ বছরের এই ব্যাক্তি গায়ে কেরোসিন ঢেলে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। তার সহযোগী প্রতিবাদকারীদের দ্বারা তাকে সনাক্ত করা হয়েছে। জাম্ফেল ইয়েশি নামক এই ব্যাক্তি ভারতের রাজধানীতেই বসবাস করে। 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিভাবে সে আগুঞ্জ্বলা শরীরে ব্যাথায় আর্তনাদ করে ছুটে চলছিল আর পিছনে ফেলে যাচ্ছিল কালো ধোঁয়া। একজন প্রতিবাদকারী এএফপি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, র্যা লিতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে এক ব্যাক্তি ইয়েশির শরীরে তার কোট ছুড়ে মারে আগুন নেভানোর জন্য। পরে পুলিশ এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সে মারাত্মকভাবে আগুনে পুড়েছে। তিব্বতীয়রা তাদের প্রতিবাদ চালাচ্ছে এই বলে যে তিব্বত চীনের অংশ নয়, সেখানে চীনের শাসন চলবেনা। ২০১১ সাল থেকে প্রায় ২৯ জন তিব্বতীয় নিজেদেরকে আগুনে পুড়িয়েছে।

Tuesday, May 1, 2012

মে দিবস


আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস (মে দিবস নামেও পরিচিত) মে মাসের প্রথম দিনটিকে পৃথিবীর অনেক দেশে পালিত হয়। বেশকিছু দেশে মে দিবসকে লেবার ডে হিসাবে পালন করা হয়। এদিনটি সরকারীভাবে ছুটির দিন। ১৮৮৬ সালের ১লা মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটে ৮ ঘণ্টা শ্রমদিনের দাবীতে আন্দোলন রত শ্রমিকের ওপর গুলি চালানো হলে ১১ জন শহীদ হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় এইদিন পালিত হয় না। এ ছাড়া এইদিনে আরও কিছু ঘটনা রয়েছে যা আঞ্চলিক ভাবে হয়তো পালিত হয়। 
পূর্বে শ্রমিকদের অমানবিক পরিশ্রম করতে হত, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা আর সপ্তাহে ৬ দিন। বিপরীতে মজুরী মিলত নগণ্য, শ্রমিকরা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করত, ক্ষেত্রবিশেষে তা দাসবৃত্তির পর্যায়ে পড়ত। ১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের একদল শ্রমিক দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করার জন্য আন্দোলন শুরু করেন, এবং তাদের এ দাবী কার্যকর করার জন্য তারা সময় বেঁধে দেয় ১৮৮৬ সালের ১লা মে। কিন্তু কারখানা মালিকগণ এ দাবী মেনে নিল না। ৪ঠা মে ১৮৮৬ সালে সন্ধ্যাবেলা হালকা বৃষ্টির মধ্যে শিকাগোর হে-মার্কেট নামক এক বাণিজ্যিক এলাকায় শ্রমিকগণ মিছিলের উদ্দেশ্যে জড়ো হন। তারা ১৮৭২ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত এক বিশাল শ্রমিক শোভাযাত্রার সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে এটি করেছিলেন। আগস্ট স্পীজ নামে এক নেতা জড়ো হওয়া শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলছিলেন। হঠাৎ দূরে দাড়ানো পুলিশ দলের কাছে এক বোমার বিস্ফোরন ঘটে, এতে এক পুলিশ নিহত হয়। পুলিশবাহিনী তৎক্ষনাত শ্রমিকদের উপর অতর্কিতে হামলা শুরু করে যা রায়টের রূপ নেয়। রায়টে ১১ জন শ্রমিক শহীদ হন। পুলিশ হত্যা মামলায় আগস্ট স্পীজ সহ আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এক প্রহসনমূলক বিচারের পর ১৮৮৭ সালের ১১ই নভেম্বর উন্মুক্ত স্থানে ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। লুইস লিং নামে একজন একদিন পূর্বেই কারাভ্যন্তরে আত্মহত্যা করেন, অন্যএকজনের পনের বছরের কারাদন্ড হয়। ফাঁসির মঞ্চে আরোহনের পূর্বে আগস্ট স্পীজ বলেছিলেন, "আজ আমাদের এই নি:শব্দতা, তোমাদের আওয়াজ অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী হবে"। ২৬শে জুন১৮৯৩ ইলিনয়ের গভর্ণর অভিযুক্ত আটজনকেই নিরপরাধ বলে ঘোষণা দেন, এবং রায়টের হুকুম প্রদানকারী পুলিশের কমান্ডারকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। আর অজ্ঞাত সেই বোমা বিস্ফোরণকারীর পরিচয় কখনোই প্রকাশ পায়নি।
শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের "দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার" দাবী অফিসিয়াল স্বীকৃতি পায়। আর পহেলা মে বা মে দিবস প্রতিষ্ঠা পায় শ্রমিকদের দাবী আদায়ের দিন হিসেবে, পৃথিবীব্যাপী আজও তা পালিত হয়।