নিরীহ ধরনের চাহনি, চলাফেরায়ও কেমন যেন একটা অলস অলস ভাব—নেই চঞ্চলতা বা ব্যস্ততা, যেন বা আপন কাজে দারুণ মগ্ন এক অসাবধানি পাখি। খাবারের খোঁজে মাটির ওপর দিয়ে ছোট ছোট লাফে সামনে এগোবে, মাঝে মাঝে লেজ নাচাবে। ইংরেজি নাম Eurasian wrynreck। বৈজ্ঞানিক নাম Junx torquilla। মাপ ১৬-১৭ সেন্টিমিটার। মূলত খাবার সংগ্রহ করে মাটি থেকেই। উইপোকা এবং এর ঢিবির সন্ধান পেলে আনন্দে আত্মতৃপ্তিতে এরা গলায় তোলে একধরনের চাপা শব্দ। পিঁপড়ে এবং এর ডিম-বাচ্চা, পোকা-পতঙ্গই মূল খাবার। খেজুরের রস নলি বেয়ে মাটিতে পড়ে জমা হলে সেখানেও ঠোঁট চালায়।
উদাস ধরনের পাখি বটে—দারুণ চতুর-বুদ্ধিমান ও সতর্ক পাখি এরা। মনে হয় কিছুই বোঝে না! আসলে বহু চতুর পাখির চেয়েও এরা বেশি বোঝে। গুইসাপ-বেজি-বনবিড়ালও এদের পাকড়াও করতে পারে না। বিপদের গন্ধ পেলে স্থির হয়, মড়ার মতো শরীর এলিয়ে দিতে পারে। কাছে গেলে ফুড়ুৎ। প্রয়োজন ছাড়া ডাকে না এরা—ডাকতেও যেন এদের কষ্ট। শীতে প্রায় সারা দেশেই কমবেশি দেখা মেলে এই পাখিদের।
No comments:
Post a Comment