Thursday, July 26, 2012
Tuesday, July 24, 2012
প্রবল বৃষ্টি
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে প্রবল বর্ষণ থেকে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শহরের প্রধান বিমানবন্দরে আটকা পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। বেইজিংয়ে ৬১ বছরের মধ্যে গত শনিবার সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া গতকাল রোববার জানায়, বেইজিংয়ের প্রধান সড়কগুলো বন্যায় তলিয়ে গেছে। বন্যায় এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পুলিশের এক সদস্য মারা গেছেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। একটি পাতালপথে গাড়িসহ ডুবে গিয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা ছাদ ধসে ও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কয়েকজন উদ্ধারকর্মীসহ অসংখ্য মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। বন্যার ফলে শহরের প্রধান বিমানবন্দরে অন্তত ৫০০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
বেইজিংয়ে গত গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৭০ মিলিমিটার। এর মধ্যে বেইজিংয়ের পার্বত্য এলাকায় অবস্থিত ফাংশান জেলায় সর্বোচ্চ ৪৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ওই এলাকা থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতের মোট সংখ্যায় ওই তিনজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কি না নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গতকাল পর্যন্ত দুর্গত এলাকা থেকে অন্তত ৩০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই বেইজিংয়ের বাইরে অবস্থিত প্রত্যন্ত পার্বত্য জেলাগুলোর বাসিন্দা।
রাজধানী ছাড়াও উত্তরাঞ্চলীয় শানঝি প্রদেশে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল বন্যার তোড়ে একটি ট্রাক ভেসে গেলে ওই ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে ভূমিধসে ছয়জন নিহত হয়েছে। প্রাদেশিক বন্যা-নিয়ন্ত্রণ ও ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তারা এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
বেইজিং নগর কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা শহরের পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করেছেন।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া গতকাল রোববার জানায়, বেইজিংয়ের প্রধান সড়কগুলো বন্যায় তলিয়ে গেছে। বন্যায় এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পুলিশের এক সদস্য মারা গেছেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। একটি পাতালপথে গাড়িসহ ডুবে গিয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা ছাদ ধসে ও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কয়েকজন উদ্ধারকর্মীসহ অসংখ্য মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। বন্যার ফলে শহরের প্রধান বিমানবন্দরে অন্তত ৫০০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
বেইজিংয়ে গত গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৭০ মিলিমিটার। এর মধ্যে বেইজিংয়ের পার্বত্য এলাকায় অবস্থিত ফাংশান জেলায় সর্বোচ্চ ৪৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ওই এলাকা থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতের মোট সংখ্যায় ওই তিনজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কি না নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গতকাল পর্যন্ত দুর্গত এলাকা থেকে অন্তত ৩০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই বেইজিংয়ের বাইরে অবস্থিত প্রত্যন্ত পার্বত্য জেলাগুলোর বাসিন্দা।
রাজধানী ছাড়াও উত্তরাঞ্চলীয় শানঝি প্রদেশে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল বন্যার তোড়ে একটি ট্রাক ভেসে গেলে ওই ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে ভূমিধসে ছয়জন নিহত হয়েছে। প্রাদেশিক বন্যা-নিয়ন্ত্রণ ও ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তারা এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
বেইজিং নগর কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা শহরের পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করেছেন।
Monday, July 23, 2012
ডুক লেঙ্গুর
বিরল প্রজাতির দুটি বানরকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে ভিয়েতনামের তিন সেনাসদস্যকে আটক করা হয়েছে। রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র ভয়েস অব ভিয়েতনাম এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ধূসর পায়ের ডুক লেঙ্গুর (বানর) হত্যার ছবি ফেসবুকে গত সপ্তাহে প্রকাশ করা হয়। এতে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়। এনগুয়েন ভান কুয়াং নামের এক সেনাসদস্য ছবিগুলো প্রকাশ করেন। ছবিতে দেখা যায়, অন্তঃসত্ত্বা একটি বানরকে ধূমপান করানো হচ্ছে এবং নির্যাতন করে মেরে ফেলা হচ্ছে।
সামরিক কর্মকর্তা কর্নেল এনগুয়েন ভান হাই বলেন, ওই তিন সেনাকে সেন্ট্রাল হাইল্যান্ডস এলাকায় বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁরা স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে বানরগুলোকে ধরে এনে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বানর হত্যার অভিযোগে ওই তিন সেনাকে বৃহস্পতিবার চিহ্নিত করা হয়। শিগগিরই তাঁদের একটি সামরিক আদালতে হাজির করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ধূসর পায়ের ডুক লেঙ্গুর (বানর) হত্যার ছবি ফেসবুকে গত সপ্তাহে প্রকাশ করা হয়। এতে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়। এনগুয়েন ভান কুয়াং নামের এক সেনাসদস্য ছবিগুলো প্রকাশ করেন। ছবিতে দেখা যায়, অন্তঃসত্ত্বা একটি বানরকে ধূমপান করানো হচ্ছে এবং নির্যাতন করে মেরে ফেলা হচ্ছে।
সামরিক কর্মকর্তা কর্নেল এনগুয়েন ভান হাই বলেন, ওই তিন সেনাকে সেন্ট্রাল হাইল্যান্ডস এলাকায় বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁরা স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে বানরগুলোকে ধরে এনে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বানর হত্যার অভিযোগে ওই তিন সেনাকে বৃহস্পতিবার চিহ্নিত করা হয়। শিগগিরই তাঁদের একটি সামরিক আদালতে হাজির করা হবে।
একসঙ্গে পাঁচ সন্তান
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল শনিবার একসঙ্গে পাঁচটি নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন এক গৃহবধূ। চার কন্যাশিশু ও মা সুস্থ থাকলেও ছেলেটির অবস্থা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। একসঙ্গে পাঁচ নবজাতকের জন্মের এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তাদের একনজর দেখতে হাসপাতালে ভিড় জমায় লোকজন।
ওই গৃহবধূর নাম শিমু বেগম (২৩)। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুল গফ্ফার খানের (৩৫) স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্র জানায়, এক বছর আগে গৃহবধূ শিমু বেগমের প্রথম সন্তান মারা যায়। এরপর আবার সন্তানসম্ভবা হওয়ার তিন মাসের মাথায় পরীক্ষা করানো হলে চিকিৎসকেরা জানান, শিমুর গর্ভে দুটি বাচ্চা রয়েছে। ছয় মাসের মাথায় আবার পরীক্ষায় একই কথাই বলা হয়। কিন্তু সর্বশেষ গত ১৫ জুলাই পরীক্ষা করানো হলে চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর গর্ভে চারটি বাচ্চা রয়েছে নিশ্চিত। এমনকি পাঁচটিও হতে পারে। এরপর অবস্থা বিবেচনা করে তাঁকে ১৭ জুলাই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌসের নেতৃত্বে দুই দিন ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গতকাল সকাল ১০টায় শিমু বেগমকে অস্ত্রোপচারকক্ষে নেওয়া হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর চিকিৎসকেরা জানান, শিমু চার কন্যা ও এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ২১ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছে জন্ম নেওয়া চার কন্যাশিশুকে। কর্তব্যরত সেবিকা নুরুন নাহার জানান, তারা সম্পূর্ণ সুস্থ। তবে তাদের দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করছে। হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার চিকিৎসক কানিজ ফাতেমা বলেন, বাচ্চাদের বয়স নয় মাস পূর্ণ না হলেও মায়ের কথা বিবেচনা করে আগেই অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে। কন্যাশিশুগুলো সুস্থ। তবে পুত্রশিশুটি সবার ছোট হওয়ায় কিছুটা ঝুঁকিতে আছে।
পাঁচ নবজাতকের বাবা ইউপি সদস্য আবদুল গফ্ফার খান বলেন, ‘প্রথম সন্তান মারা যাওয়ার পর একসঙ্গে পাঁচটি বাচ্চা হওয়ায় আমি দারুণ খুশি। আপনারা দোয়া করবেন, ওরা যেন ভালো থাকে।’
ওই গৃহবধূর নাম শিমু বেগম (২৩)। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুল গফ্ফার খানের (৩৫) স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্র জানায়, এক বছর আগে গৃহবধূ শিমু বেগমের প্রথম সন্তান মারা যায়। এরপর আবার সন্তানসম্ভবা হওয়ার তিন মাসের মাথায় পরীক্ষা করানো হলে চিকিৎসকেরা জানান, শিমুর গর্ভে দুটি বাচ্চা রয়েছে। ছয় মাসের মাথায় আবার পরীক্ষায় একই কথাই বলা হয়। কিন্তু সর্বশেষ গত ১৫ জুলাই পরীক্ষা করানো হলে চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর গর্ভে চারটি বাচ্চা রয়েছে নিশ্চিত। এমনকি পাঁচটিও হতে পারে। এরপর অবস্থা বিবেচনা করে তাঁকে ১৭ জুলাই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌসের নেতৃত্বে দুই দিন ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গতকাল সকাল ১০টায় শিমু বেগমকে অস্ত্রোপচারকক্ষে নেওয়া হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর চিকিৎসকেরা জানান, শিমু চার কন্যা ও এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ২১ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছে জন্ম নেওয়া চার কন্যাশিশুকে। কর্তব্যরত সেবিকা নুরুন নাহার জানান, তারা সম্পূর্ণ সুস্থ। তবে তাদের দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করছে। হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার চিকিৎসক কানিজ ফাতেমা বলেন, বাচ্চাদের বয়স নয় মাস পূর্ণ না হলেও মায়ের কথা বিবেচনা করে আগেই অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে। কন্যাশিশুগুলো সুস্থ। তবে পুত্রশিশুটি সবার ছোট হওয়ায় কিছুটা ঝুঁকিতে আছে।
পাঁচ নবজাতকের বাবা ইউপি সদস্য আবদুল গফ্ফার খান বলেন, ‘প্রথম সন্তান মারা যাওয়ার পর একসঙ্গে পাঁচটি বাচ্চা হওয়ায় আমি দারুণ খুশি। আপনারা দোয়া করবেন, ওরা যেন ভালো থাকে।’
Saturday, July 21, 2012
পানামার গোলাপ রনডেলেশিয়া
রমনা উদ্যানের অশোককুঞ্জের উত্তর পাশ লাগোয়া কয়েকটি রঙ্গনের পাশেই দেখা মিলবে এ গাছের। অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মার ফুলগুলো যেন কথা গ্রন্থে গাছটির পরিচয় ‘রনডেলেশিয়া’ নামে। কোনো বাংলা নাম নেই। প্রায় বর্ষব্যাপ্ত প্রস্ফুটন ও চটকদার রঙের জন্য যেকোনো উদ্যানেই মানানসই। সঠিক পরিচর্যার অভাবে উদ্যানের গাছটি বেশ হতশ্রী। তবে বংশবৃদ্ধির ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর বলেই রনডেলেশিয়ার তেমন প্রসার ঘটেনি। জানামতে, রমনা উদ্যান ছাড়া নিউ বেইলি রোডের ডাক বিভাগের আবাসিক ভবনগুলোর একটিতে এ গাছ চোখে পড়ে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে কারও ব্যক্তিগত বাগানেও থাকতে পারে।
রনডেলেশিয়া (Rondeletia odorata) পানামার সুগন্ধি গোলাপ নামেও পরিচিত। চিরসবুজ গুল্ম। আলেক্সানাডার ভন হামবল্ডট এবং অ্যামি বনপ্লেনড সর্বপ্রথম মেক্সিকো থেকে এ গাছ সংগ্রহ করেন। ১৮১৮ সালের দিকে Nova Genera et Species Plantarum গ্রন্থের চতুর্থ সংস্করণে এ গাছের উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম সংযুক্ত করা হয়। রনডেলেশিয়া নামটি স্যার গুইলামি রনডিলেটের স্মারণিক। এ গাছের আদি আবাস কিউবা। সাধারণত এক থেকে দেড় মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে, গড়নের দিক থেকে লম্বাটে স্বভাবের। পাতা চার থেকে ছয় সেন্টিমিটার লম্বা, ওপরের পিঠ রোমশ। ছোট ছোট থোকায় সাত থেকে আট মাস পর্যন্ত ফুল ফোটে। ফুল দেখতে অনেকটা রঙ্গনের মতো, তবে পাপড়ির আগা ভোঁতা ও মাঝখানে একটি হলুদ রঙের ফোঁটা থাকে, পাপড়ির রং লাল। বংশবৃদ্ধি দাবাকলমে।
Sunday, July 15, 2012
Saturday, July 14, 2012
Friday, July 13, 2012
ইয়াসুনি ন্যাশনাল পার্ক
প্রকৃতির বিস্ময় আমাজন বৃষ্টিবন বা রেইন ফরেস্ট। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের কয়েকটি দেশজুড়ে এই বিশাল বন। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও বিস্ময়কর জীববৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ এই বনভূমি। আমাজন নদী অববাহিকার পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় চার হাজার বর্গমাইলজুড়ে রয়েছে ইকুয়েডরের ইয়াসুনি ন্যাশনাল পার্ক। একে পৃথিবীর প্রধানতম প্রাণবৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকা হিসেবে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। ইকুয়েডরের জীববিজ্ঞানী ডেভিড রোমো বলেন, ‘প্রতিবার ইয়াসুনিতে গেলেই নতুন নতুন প্রজাতির জীব দেখা যায়। শুধু সেখানকার সব কীটপতঙ্গ প্রজাতির নাম দিতেই আমাদের ৪০০ বছর লাগতে পারে।’
ইয়াসুনির প্রতি হেক্টরে প্রায় এক লাখ কীটপতঙ্গ আছে বলে ধারণা করা হয়। দক্ষিণ আমেরিকার অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে এখানকার বৃক্ষ প্রজাতির সংখ্যাও নিঃসন্দেহে অনেক বেশি। এই পার্কে আছে প্রায় ২৮ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মেরুদণ্ডী প্রাণী। যেমন সাদা পেট মাকড়সা বানর। আছে ৯৫টি বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতি। পাখিপ্রেমীদের স্বর্গ বলে বিবেচিত এই পার্কে পাখি আছে প্রায় ৬০০ প্রজাতির। এত ছোট একটা ভূখণ্ডে প্রাণের এই বৈচিত্র্য বিস্ময়কর। তবে সম্প্রতি ইকুয়েডরের উদ্ভিদবিজ্ঞানী গোর্কি ভিলা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘ভালোমতো বুঝে ওঠার আগেই বনটি ধ্বংস হয়ে যায় কি না, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’
ঘাড়ব্যথা
অদ্ভুত এই পাখিটির নাম ইউরেশীয় রাইনেক বা ‘রাইনেক’। পাখিটির কোনো বাংলা নাম না থাকায় ‘ইউরেশীয় ঘাড়বাঁকা’ বা ‘ঘাড়ব্যথা’ নামে ডাকা হয়। এরা কাঠঠোকরা-জাতীয় পাখি। তবে কাঠঠোকরাদের মতো ঠোঁট ছুরির ফলার মতো নয়, বরং তা আকারে ছোট। খাবারের জন্য বেশির ভাগ সময় মাটিতেই কাটায় বলে ‘মেঠো কাঠঠোকরা’ নামেও পরিচিত। বৈজ্ঞানিক নাম Jinx torquilla।
ঘাড়ব্যথা বাদামি-ধূসর পাখি। লম্বায় ১৯ সেন্টিমিটার। লেজ তুলনামূলকভাবে লম্বা। দেহের ওপরটা ধূসর। নিচটা হলদে ডোরাযুক্ত। পেটের দিকটায় কখনো-সখনো লালচে আভা দেখা যায়। একটি কালো দাগ চোখ-গাল হয়ে ঘাড়ের পেছন দিকে চলে গেছে। বাদামি ডানার ওপর কালো, হলদে ও ধূসর ফোঁটা এবং ডোরা। হলদে গলা ও বুকে কালো ডোরা। পেটে কালো রেখা। পা খাটো। ঠোঁট, পা ও পায়ের নালা বাদামি। পুরুষ ও স্ত্রী দেখতে একই রকম হলেও পুরুষগুলো যেন বেশি চকচকে।
ঘাড়ব্যথা বিরল প্রজাতির পরিযায়ী পাখি। সুদূর সাইবেরিয়া ও চীন থেকে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে শীতে এ দেশে আসে ও বসন্তে চলে যায়। শীতকালে প্রধানত সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের গ্রামীণ এলাকায় দেখা যায়। গ্রীষ্মকালে খোলা ঝোপঝাড়, মাঠ ও কৃষিজমির ধারেকাছে এবং শীতকালে বাগান ও কৃষি খামারের আশপাশে থাকতে পছন্দ করে। একাকী বা জোড়ায় ঘুরে বেড়ায়। শুষ্ক মাটি বা পিঁপড়ার ঢিবিতে বসে বা লাফিয়ে লাফিয়ে খাবার সংগ্রহ করে। পছন্দের খাদ্য তালিকায় রয়েছে পিঁপড়া, পিঁপড়ার ডিম ও বাচ্চা এবং গুবরেপোকা। ভয় পেলে বুক ঠেকিয়ে মাটির সঙ্গে লেপটে থাকে। দেহের রঙ সহজেই এদের মাটির সঙ্গে মিলেমিশে যেতে সাহায্য করে। এ সময় সুযোগ পেলে আশপাশের ঝোপঝাড়ে আশ্রয় নেয়। ভয় কেটে গেলে ফের মাঠে আসে। সাধারণত চিঁউ-চিঁউ-চিঁউ-চিঁউ স্বরে ডাকে।
মে-জুলাই প্রজননকাল। এ সময় তির-তির-তির-তির স্বরে ডাকে। কোনো ছোট গাছের খোঁড়লে বাসা বানায়। সচরাচর কাঠঠোকরার পরিত্যক্ত বাসা ব্যবহার করে। বাসায় কেউ উৎপাত করলে সাপের মতো মাথাটিকে ঘুরিয়ে হিস-হিস শব্দ করে উৎপাতকারীকে ভয় দেখায়। এদের ডিমের রং সাদা।
Friday, July 6, 2012
Tuesday, July 3, 2012
Monday, July 2, 2012
Sunday, July 1, 2012
Subscribe to:
Posts (Atom)