Pages

Friday, July 13, 2012

ইয়াসুনি ন্যাশনাল পার্ক

ইয়াসুনি ন্যাশনাল পার্কের জীববৈচিত্র্য বিশ্বের মধ্যে অনন্য

প্রকৃতির বিস্ময় আমাজন বৃষ্টিবন বা রেইন ফরেস্ট। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের কয়েকটি দেশজুড়ে এই বিশাল বন। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও বিস্ময়কর জীববৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ এই বনভূমি। আমাজন নদী অববাহিকার পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় চার হাজার বর্গমাইলজুড়ে রয়েছে ইকুয়েডরের ইয়াসুনি ন্যাশনাল পার্ক। একে পৃথিবীর প্রধানতম প্রাণবৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকা হিসেবে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। ইকুয়েডরের জীববিজ্ঞানী ডেভিড রোমো বলেন, ‘প্রতিবার ইয়াসুনিতে গেলেই নতুন নতুন প্রজাতির জীব দেখা যায়। শুধু সেখানকার সব কীটপতঙ্গ প্রজাতির নাম দিতেই আমাদের ৪০০ বছর লাগতে পারে।’
ইয়াসুনির প্রতি হেক্টরে প্রায় এক লাখ কীটপতঙ্গ আছে বলে ধারণা করা হয়। দক্ষিণ আমেরিকার অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে এখানকার বৃক্ষ প্রজাতির সংখ্যাও নিঃসন্দেহে অনেক বেশি। এই পার্কে আছে প্রায় ২৮ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মেরুদণ্ডী প্রাণী। যেমন সাদা পেট মাকড়সা বানর। আছে ৯৫টি বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতি। পাখিপ্রেমীদের স্বর্গ বলে বিবেচিত এই পার্কে পাখি আছে প্রায় ৬০০ প্রজাতির। এত ছোট একটা ভূখণ্ডে প্রাণের এই বৈচিত্র্য বিস্ময়কর। তবে সম্প্রতি ইকুয়েডরের উদ্ভিদবিজ্ঞানী গোর্কি ভিলা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘ভালোমতো বুঝে ওঠার আগেই বনটি ধ্বংস হয়ে যায় কি না, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’

No comments:

Post a Comment