Pages

Thursday, June 21, 2012

ঘুড়ি উৎসব


লেবাননের বৈরুতের রামেল আল বায়দা সমুদ্রসৈকতে নবম আন্তস্কুল ঘুড়ি উৎসবের আসর বসেছে। উৎসবে অংশ নিয়েছে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী। নানা রঙের নানা আকৃতির ঘুড়িতে বর্ণিল হয়ে উঠেছে সৈকতের আকাশ। সৈকতে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়।

Wednesday, June 20, 2012

ধরিত্রি সম্মেলন


ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে আজ বুধবার (২০ জুন ২০১২ইং) রিও+২০ ধরিত্রি সম্মেলন শুরু হচ্ছে। সম্মেলন শুরুর আগের দিন কোপাকাবানা সৈকতে স্বেচ্ছাসেবীরা মুখোশ পরে ক্ষুদা ও দারিদ্র্যপীড়িত দেশগুলোর সমস্যা তুলে ধরে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তাঁদের মাঝখানে সারি করা খালি থালা ও পতাকা যেন অনুন্নত দেশগুলোর অবস্থার চিত্রই তুলে ধরেছে।

Tuesday, June 19, 2012

হাঁসের ঝাঁক


চীনের জেঝিয়াং প্রদেশের তাইঝৌ এলাকায় সড়ক দিয়ে একজন কৃষক নিয়ে যাচ্ছেন বিশাল হাঁসের ঝাঁক। এ সময় একটি গাড়ির চালক তা দেখছেন। ওই কৃষকের এই ঝাঁকে রয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার হাঁস।

Monday, June 18, 2012

মহাকাশযাত্রা


চীনের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী মহাকাশ অভিযানে অংশ নিচ্ছেন দেশটির প্রথম নারী নভোচারী লিউ ইয়াং। শেনঝু-৯ নামের একটি নভোযান লিউসহ অপর দুই পুরুষ অভিযাত্রী নিয়ে গোবি মরুভূমির প্রত্যন্ত এলাকা থেকে গতকাল শনিবার যাত্রা করে।
অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছেন জিং হেইপেং ও লিউ ওয়াং। ১৩ দিনব্যাপী অভিযানে মহাকাশে বিভিন্ন পরীক্ষা চালানো হবে। এ সময় নভোযানটিকে তিয়াংগং-১ নামক মহাকাশকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। তিয়াংগং-১ বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে মহাশূন্যে আবর্তনশীল রয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে শেনঝু-৯ নভোযানের যাত্রা করার দৃশ্য সম্প্রচার করা হয়।

Thursday, June 14, 2012

বাচ্চা বাঘ


বাঘের বাচ্চা তিনটি রাজধানীর মিরপুরে বোটানিক্যাল গার্ডেনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে বাচ্চাগুলো যাতে দৌড়ঝাঁপ করতে পারে, এমন একটি বড় ঘরে এগুলো রাখা হবে। অতিরিক্ত গরম থেকে বাচ্চাগুলো রক্ষা করতে ওই কক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও রাখা হবে।
গতকাল বিশেষজ্ঞ কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০ দিন ধরে আবদ্ধ থাকায় ইতিমধ্যে দুটি বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া দেওয়ায় শরীরে কিছুটা শক্তি ফিরে পেলেও বাচ্চাগুলোর আচরণ পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। গত দুই দিনে বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর ‘আদরের উৎপাতে’ এরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
গতকাল র‌্যাবের পক্ষ থেকে হাতিরপুলের মিনি চিড়িয়াখানার মালিক আবদুল ওয়াদুদকে বাঘের খাঁচার সামনে কোনো দর্শনার্থী প্রবেশ না করতে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। মিনি চিড়িয়াখানার সামনে র‌্যাবের পক্ষ থেকে প্রহরাও বসানো হয়েছে।

Friday, June 8, 2012

ভালো বাবা


দক্ষিণ মেরুতে রয়েছে অ্যান্টার্কটিকার সুবিশাল বরফের রাজ্য। শীতকালে সেখানে আরও ঠান্ডা পড়ে। এ সময় স্ত্রী রাজ পেঙ্গুইন একটি মাত্র ডিম পাড়ে। আর সে ডিম ফোটানোর কাজটা পুরোপুরি নিয়ে নেয় পুরুষ পেঙ্গুইন।
ডিমটাকে বাবা রাজ পেঙ্গুইন দুপায়ের পাতার ওপর তুলে পেটের পালক দিয়ে ঢেকে ওম দিতে থাকে। মা-টি তখন হিম সাগরে যায় খাবারের খোঁজে। যখন জোর বাতাস বইতে শুরু করে, তখন ডিমে তা দিতে থাকা সব বাবা গা ঘেঁষাঘেঁষি করে হিমের দুর্ভোগ থেকে নিজেদের রক্ষা করে। ডিমকে বাঁচায়। কষ্ট যতই হোক, পায়ের পাতা থেকে মুহূর্তের জন্য ডিম পড়তে দেয় না তারা। কারণ বরফের পরশ পাওয়া মাত্র ডিম জমে যাবে। আর বাচ্চা ফুটবে না। রাজ পেঙ্গুইন বাবা এভাবে টানা চার মাস এক ঠায় ডিম আগলে রেখে তা দেয়। এ সময় একটু-আধটু বরফ ছাড়া আর কিছু খায় না সে। খাবে কী করে? সুযোগ তো নেই।

তারপর যেই না ডিম থেকে ছানা বের হয়, তখন আবার অন্য ধরনের কষ্ট। এ সময় বাবা তাঁর গলা থেকে দুধের মতো এক ধরনের তরল পদার্থ বের করে ছানাকে খাওয়ায়।
বাবা কিউইও দায়িত্ব পালনে বেশ সচেতন। সে সুন্দর একখানা বাসা তৈরি করলে সেখানে একসঙ্গে কয়েকটি ডিম পাড়ে মা কিউই। সাধারণত ১০-১২টি ডিম পাড়ে কিউই। তবে তা মাঝেমধ্যে ২০টিতে পৌঁছায়। ডিম পেড়েই মা কিউইয়ের দায়িত্ব শেষ। এবার বাবা বসে যায় তা দিতে। ডিম ফুটতে মাস দুয়েক লাগে। এই দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকে বাবাটি। ডিমে শুধু চুপচাপ বসেই থাকে না বাবা। দিনে বেশ কয়েকবার প্রতিটা ডিম উল্টেপাল্টে দেয়, যাতে সব দিকে সমান তাপ লাগে। 

ব্যাঙের দুনিয়ায় বাবার কথা বলে আর কী হবে, পানিতে ডিম ছাড়ার পর মায়েরই কোনো খোঁজ থাকে না। এর পরও ‘পয়জন অ্যারো ফ্রগ’ বলে পরিচিত এক জাতের বিষাক্ত সবুজ ব্যাঙ অন্য রকম। মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বৃষ্টিবনে থাকে এসব ব্যাঙ। সবুজ গায়ে লম্বা কালো ডোরা রয়েছে এসব ব্যাঙের। ত্বকে মারাত্মক বিষ। মা ব্যাঙ গাছের পাতায় একগাদা ডিম পাড়ার পর কাছে বসে বাবা ব্যাঙটি টানা দুই সপ্তাহ পাহারা দেয়। তারপর যেই না ডিম ফুটে ব্যাঙাচি বের হয়, পিঠের ওপর তুলে নেয় বাবা। নতুন বাড়িতে নিয়ে ছেড়ে দেয় এগুলো। এই নতুন বাড়ি হতে পারে পানি জমে থাকা কোনো গাছের কোটর। হতে পারে পানি জমে থাকা উঁচু কোনো স্থান।
, যেখানে শেওলার মতো পর্যাপ্ত খাবার রয়েছে। ব্যাঙাচিগুলো পূর্ণাঙ্গ খুদে ব্যাঙে পরিণত হতে মাস তিনেক সময় লাগে। এই পুরোটা সময় বাবা ব্যাঙ পাহারা দেয় তাদের। যেকোনো ক্ষতি থেকে ব্যাঙাচিগুলোকে রক্ষা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করে।
বৃষ্টিবনের আরেক দায়িত্বশীল বাবা ‘এম্পেরর টামারিন’। দক্ষিণ আমেরিকার বৃষ্টিবনে বাস করে এই ছোট জাতের বানর। আকারে একেকটা কাঠবিড়ালির সমান হয়। ছোট ছোট দলে বাস করে টামারিন। মা সাধারণত একসঙ্গে দুটি বাচ্চার জন্ম দেয়। এরপর পুরো লালন-পালনের দায়িত্ব বাবার। বাবা যেখানে, তার পিঠে করে ছানাটিও সেখানে। কেবল দুধ খাওয়ার সময় ছানাগুলো মায়ের কাছে যায়।

Thursday, June 7, 2012

শুক্র গ্রহের পরিক্রমণ

সূর্যের সামনে দিয়ে শুক্র গ্রহের পথ-পরিক্রমণের বিরল দৃশ্য গতকাল বুধবার উপভোগ করেছে বিশ্বের মানুষ। এ ধরনের দৃশ্য আবার দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১০০ বছরের বেশি সময়। 
উত্তর আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর অংশে গত মঙ্গলবার গ্রিনিচ মান সময় ২২০০টার কিছুক্ষণ পর এ দৃশ্য শুরু হয়। এ সময় সূর্যের পৃষ্ঠদেশে শুক্র গ্রহকে একটি ছোট্ট কালো বিন্দুর মতো দেখায়।
শুক্রের পরিক্রমণের এ দৃশ্য পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও দৃশ্যমান ছিল। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে অনেকেই তা দেখতে পারেনি। 
আকাশ একেবারে পরিষ্কার থাকার কারণে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে এ দৃশ্য ভালোভাবে দেখা গেছে। কুয়ালালামপুরের জাতীয় মানমন্দিরে এ দৃশ্য দেখতে হাজির হন জং জি কিয়ান। তিনি বলেন, ‘এটা জীবনে একবারই পাওয়ার মতো বিষয়। আপনি যদি এটাকে মিস করেন, তবে ২১১৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাই লোকজন এটা দেখতে আসতে খুবই অধীর।’
বিশ্বের যেসব জায়গায় শুক্রের পরিক্রমণের দৃশ্য খুব ভালোভাবে দেখা গেছে, তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া অন্যতম। দেশটির পূর্বাঞ্চল থেকে কেন্দ্রীয় অঞ্চল পর্যন্ত টানা প্রায় সাত ঘণ্টা এ দৃশ্য দেখা গেছে। খারাপ আবহাওয়া যদিও এ দৃশ্য দেখতে অনেকের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, তার পরও সিডনি অবজারভেটরিতে টিকিট কেটে এ দৃশ্য দেখতে যায় প্রায় দেড় হাজার লোক। 
দৃশ্যটি এবার প্রথম দেখা যায় উত্তর আমেরিকায়। আর সবশেষে দেখা যায় ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারে জড়ো হয় ৬০০ লোক। সেখান থেকে নাসার বিজ্ঞানী রিচার্ড ভনডার্ক বলেন, ‘প্রত্যেকেই একটা দারুণ সময় পার করেছে!’
চোখের ক্ষতি এড়াতে শুক্রের সূর্য ও পৃথিবীর মধ্য দিয়ে অতিক্রমের এ দৃশ্য কেবল অনুমোদিত সৌর ফিল্টার ব্যবহার করে দেখার জন্য আগে থেকেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
সৌরজগতের দ্বিতীয় গ্রহ শুক্রের এ পরিক্রমণ অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। কেননা, ১৭৬৯ সালে গ্রহটির পরিক্রমণ ব্রিটিশ নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন জেমস কুকের দক্ষিণের এ মহাদেশ ‘আবিষ্কারে’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সে বছর ক্যাপ্টেন কুক পরিক্রমণের দৃশ্য পর্যবেক্ষণে একটি বিশেষ জাহাজে করে বেরিয়ে পড়েন। সফলভাবে তা করার পর তাঁকে ‘গ্রেট সাউথ ল্যান্ড’ অন্বেষণে পাঠানো হয়। ধারণা করা হতো, প্রশান্ত মহাসাগরে এটার অস্তিত্ব রয়েছে। ওই যাত্রার সময় তিনি সত্যিই অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে পৌঁছে যান। এ ঘটনার পর ১৭৭০ সালে ব্রিটিশরা মহাদেশটির ওপর তাদের দাবি প্রতিষ্ঠা করে।
বিজ্ঞানীদের হিসাবে, খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫০ বারের বেশি শুক্র গ্রহের এ পরিক্রমণ সংঘটিত হয়েছে। তবে এর আগে শুধু ১৬৩৯, ১৭৬১, ১৭৬৯, ১৮৭৪, ১৮৮২ ও ২০০৪ সালে তা প্রত্যক্ষ করার উল্লেখ রয়েছে।

Saturday, June 2, 2012

প্রজাপতি


প্রজাপতির কথা শুনলেই মনে ভেসে আসে রঙের বর্ণচ্ছটা। রঙিন এই প্রজাপতি ধরতে এর পেছনে ছোটেনি—এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। বাংলাদেশেরই কোনো পার্কে গিয়ে যদি দেখা যায় ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়াচ্ছে হাজারো রঙের, হরেক জাতের প্রজাপতি, তাহলে কেমন হয়?
স্বপ্ন নয়, গাজীপুরের ভাওয়াল ন্যাশনাল পার্কে গিয়ে এখন দেখা মিলবে হাজারো প্রজাপতির। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বন বিভাগ যৌথভাবে এ পার্ক তৈরি করেছে। গতকাল শুক্রবার ০১ জুন ২০১২ইং এ পার্কের উদ্বোধন করা হয়।
গবেষক দল গত ১২ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণা করে ১০টি গোত্রের ৩০০ প্রজাতির প্রজাপতি শনাক্ত করেছেন। তবে বাংলাদেশে ১০টি গোত্রের ৬০০ প্রজাতির প্রজাপতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। 
এ উদ্যানে ৩৫টি গোত্রের ১৪৬ প্রজাতির প্রায় ৩৭ হাজার গাছ আছে। এখানেই থাকে বাহারি সব প্রজাপতি।



Friday, June 1, 2012

লন্ডন টাওয়ার ব্রিজ


যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজসিংহাসন আরোহণের ৬০ বছর পূর্তি বা হীরকজয়ন্তী উৎসব আজ ১ জুন থেকে লন্ডনে শুরু হচ্ছে। বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনার পাশাপাশি নিত্য ব্যবহার্য পণ্য, খাবারদাবারেও উৎসবের রং লেগেছে। হীরকজয়ন্তী ও আসন্ন লন্ডন অলিম্পিক উপলক্ষে বদলে গেছে রাতের লন্ডন টাওয়ার ব্রিজের দৃশ্যপট। লাল, গাঢ় নীল আর সাদা আলোর দ্যোতনায় টাওয়ার ব্রিজটিকে আগামী ২৫ বছর এমন রূপেই দেখতে পাবে বিশ্ববাসী। 
আগামী রোববার দুপুরে হাজার নৌকার বহর নিয়ে টেমস নদীতে সাত মাইল দীর্ঘ রাজকীয় নৌযাত্রায় অংশ নেবেন রানি এলিজাবেথ। সঙ্গে থাকবেন রাজপরিবারের সদস্যরা।